পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

দারোয়ান

 


















বিশাল এপার্টমেন্ট এর সামনে বিডিআর কিংবা র‌্যাবের পোষাকের অনুরুপ কিছুলোককে পাহাড়া দিতে দেখা যায়। ভাব ভাষায় আধুনিকতায় এরা প্রাচীন কালের পাহাড়াদারের আধুনিক সংস্করণ। যাদের বলা হয় হাই ডেড হাই মাম সোসাইটির ভাষায় গার্ড। তাদের ভাব ভংগীতে দেখে মনে হয় চোর ধরার ব্যাপারে এরা অনেকটা পারঙ্গম। কারণ তাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে বিভিন্ন সেন্টার বা প্রতিষ্ঠান। বেতন ভোগী এসব কর্মচারীরা তাদের কাজের ব্যাপারে কতোটা আন্তরিক, তা তাদের চেহারা, ভাব এবং ভাষা দেখলেই যে কারোর বোঝার কথা। 
একবার ভেবে দেখুন তাদের কারণেই আপনি আরাম আয়েশে নিরাপত্তায় ঘুমুতে যেতে পারছেন। আবার এদের কারণেই আপনি দুঃচিন্তাগ্রন্থ। কারণ আপনার কাজের মেয়ে সুযোগ পেলেই তার সাথে আড্ডায় মেতে ওঠে। খোঁজে আদিম সুখের আবিরতা। ক্ষেত্র বিশেষে এরও ব্যতিক্রম দেখা যায়। সেটা হতে পারে কারো কিশোরী বা যুবতী কন্যা। অথবা কারো স্ত্রী। তারপরও আপনি কিছুটা হলেও নিশ্চয়তাতো পাচ্ছেন। তার কারণেই আপনার বাড়ীতে ছেচড়া চোরের আনা-গোনা নেই। নেই কোন উৎপাত। তাকে পাহাড়ায় রেখে আপনি যে কোন অবৈধ কাজ করতে পারছেন অনায়েসে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকা আপনার বাড়ীতেই আছে। বেতনের টাকা ড্রয়ারে আছে। স্বর্ণালংকার পড়ে আছে আলমিরার নিজস্ব ড্রয়ারে। চাবিও আছে। কিন্ত্তু চুরির ভয় নেই। কারণ পাহাড়াদার আছে। তাই পাহাড়ারও প্রয়োজন আছে। এটাতো আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। যেটুকু ভুল চুক আছে তা যদি আপনি সেরে তুলতে পারেন অথবা কোন নামী-দামী প্রতিষ্ঠান যদি আপনাকে নিশ্চয়তা দেয় যে-যে কোন অনাকাংখিত ঘটনা তারা খতিয়ে দেখবে এবং আপনাকে এ নিশ্চয়তা দেয় যে তার দেয়া বেতনভুক্ত কর্মচারীরা যদি কোন অপরাধ করে তার জন্য তারা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে। তাহলে আপনি সারা দিন খেটে খুটে অফিস থেকে ফিরে অনায়েসে ঘুমুতে যেতে পারেন। নিশ্চিতে আপনার কাজের মেয়েকে দোকানে পাঠাতে পারবেন। রাখতে পারবেন আপনার দামী জিনিসপত্র অনায়েসে। তাহলে আপনি স্বীকার করলেন যে আপনাকে সে প্রকার নিশ্চয়তা দেয়া হলে আপনি পাহাড়াদার রাখতে আপনার কোন আপত্তি নেই। তাইতো? যদি তাই হয় তাহলে তাকান আপনার নিজের দেহের দিকে।
পন্ঞ্চ ইন্দ্রিয়ের দ্বার দ্বারা আমাদের মন-মস্তিষ্কে যা কিছু প্রবেশ করে তাই ধর্ম। ধর্ম ধৃ ধাতু হতে এসেছে। যার অর্থ ধারণ করা। প্রতিটি বস্তুুই জগতে কোন না কোন কিছু ধারণ করে আছে। সেগুলো আমাদের মন-মস্তিষ্কে স্থায়ী ছাপ ফেলতে চায়। ফলে জীব সৃষ্টির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। আর এ আবদ্ধ হওয়ার ফলে সে মুক্তজীব হিসেবে বাস করতে পারে না। তার কাজ কারবারে দুনিয়ার প্রতি আসক্তির সৃষ্টি হয়। আর এর থেকে মুক্তির উপায় হলো সালাত করা। একজন সম্যক গুরুর কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে সালাত কর্ম করতে হয়। এখানে পন্ঞ্চ ইন্দ্রিয় পথে পাহাড়াদার নিযুক্ত করলে এই ইন্দ্রিয় পথে আগত বস্তুুটি কি, তা সালাতের গভীর নিরীক্ষণে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে হয়। আর এর ফলে আপনার সালাত প্রক্রিয়া গভীর হতে গভীরতর হবে। একাগ্র চিত্তে আপনি সালাত সমাধা করতে পারবেন। এতে আপনার দেহের মূল্যবান সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকবে। ভাবছেন নিশ্চয়তা কে দেবে? ঐ যে বললাম - গুরুর কথা। একজন সম্যক গুরুই পারে আপনাকে নিশ্চিত নিরাভরণ সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করার বিধান দিতে। গ্যারান্টি। ১০০% গ্যারান্টি। এখন আপনি মানবেন কি-মানবেন না সেটা আপনার এখতিয়ার।