মুর্শিদের দৃষ্টি কী রকম? হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে: النظر شفاء
(আননাজ্রু শিফাউন্) অর্থাৎ, দৃষ্টিতে আরোগ্য হয়। এর অর্থ শুভ দৃষ্টি।
মুর্শিদকে দেখলে মৃত অন্তর সজীব হয় বা
রোগাক্রান্ত অন্তর আরাম বোধ করে এবং চিন্তিত হৃদয়ের চিন্তা দূর হয়।
মুর্শিদের আসল এবং প্রকৃত রূপ যে দেখে, সে মরে না। যেমন আজরাঈল (আঃ)-এর আসল
রূপ যে দেখে, সে বাঁচে না। তবে এ দেখা কয়েক প্রকার হতে পারে, যেমন বাহ্যিক
চক্ষু দ্বারা দেখা এবং অন্তর্দৃষ্টিতে বা ধ্যানে দেখা। বাহ্যিক চক্ষু
দ্বারা দেখার জন্য সামনা-সামনি হওয়া প্রয়োজন। ধ্যানে দেখার ব্যাপারে কাছে
বা দূরে, অতি দূরেও কোনো পার্থক্য নেই। কারণ এটা মুর্শিদের বৈশিষ্ট্য। তবে
যার ধ্যানশক্তি উন্মোচিত হয়েছে, তাঁর জন্য মুর্শিদের রূপের ধ্যান একটা
বিরাট নিয়ামত। এর ন্যূনতম উপকারিতা হল এই যে, এ ধ্যানে আপন মুর্শিদের
সাহচর্যের উপকারিতা পাওয়া যায়। হযরত শাহ্ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিস (রঃ) বলেন,
واذا غاب الشيخ عنه يخيل صورته فتفيد صورته ما تفيد صحبته (অ-ইজা
গা-বাশশাইখু আন-হু ইয়াখিল্লু ছোরাতাহু ফাতাফিদু ছুরাতা-হু মা তাফিদু
ছুহবাতা-হু) অর্থাৎ, মুর্শিদের অবর্তমানে মুর্শিদের রূপের ধ্যান মুরিদকে
তাঁর সাহচর্যের উপকারিতা প্রদান করতে পারে। উল্লেখ্য, মুর্শিদের আসল রূপ
আল্লাহর সত্তার সাথে সম্পর্কিত। নবী করীম (সাঃ) বলেন, من رأني فقد رأي الحق
(মান রা-আনি ফাকাদ্ রা-আল হাক্কা) অর্থাৎ, যে আমাকে দেখেছে, বস্তুত সে
আল্লাহকে দেখেছে। সুতরাং যে আল্লাহকে দেখেছে, সে আলমে লাহুত বা ঐশী জগতের
অধিকারী হয়েছে। আর আলম-এ লাহুতে মৃত্যুর প্রবেশাধিকার নেই। কারণ মৃত্যু
রূহ্-কে আলম-এ নাসুত বা বস্তুজগৎ থেকে আলমে মেছাল তথা অনুরূপ জগৎ পর্যন্ত
নিয়ে যেতে পারে। এর উপরে তার প্রবেশাধিকার নেই। অতএব যে নশ্বর জগৎ অতিক্রম
করে অমর জগতে প্রবেশ করেছে, তার আর মরণ নেই, বরং সে অনন্ত জীবনের অধিকারী
হয়ে যায়। এ জন্য আল্লাহর অলীগণ ছাড়া অন্যরা এ বিষয়টা বোঝে না। না বুঝে ভালো
কথা, কিন্তু বিপদ এই যে, তারা এর ঘোর বিরোধী। অথচ এরাই তাদের
পুস্তক-পুস্তিকায় লিখে যে, সাধক যখন স্বীয় অস্তিত্ব বিলুপ্তি করার মানসে
ধ্যানে বসেন, তখন তিনি অনুভব করেন যে, একটি কামানের গোলা তার বক্ষভেদ করে
চলে গেছে। ফলে তার বক্ষে যেন একটা সুড়ঙ্গ হয়ে গেছে। অতঃপর সাধক অনুভব করেন
যে, ধীরে ধীরে সুড়ঙ্গটি বড় হতে হতে গোটা দেহটি সুরঙ্গের সাথে বিলীন হয়ে
গেছে। অর্থাৎ, সুড়ঙ্গটা সমস্ত দেহে ছড়িয়ে গেছে। ফলে গোটা দেহটা সুড়ঙ্গের
সাথে বিলীন হয়ে গেছে। এটার নামই ফানা বা আত্মবিলুপ্তি। এটা সাধকের জন্য
অত্যন্ত উপকারী।
এখানে স্মরণীয় যে, মুর্শিদের রূপ আল্লাহর গুণাবলিতে
পরিপূর্ণ। যার ধ্যানের মাধ্যমে শত সহস্র সংকেত ও গোপন রহস্য সম্পর্কে আলোক
লাভ হয়। তাদের মতে, মুর্শিদের ধ্যান করা র্শিক ও হারাম। তাহলে ধ্যানে
কামান, গোলা তথা লোহা কল্পনা করা কী করে পুণ্যের কাজ হয়? তদুপরি অনেক অমূলক
চিন্তার মাধ্যমে নিজেকে বিব্রত করা হয়। যেমন: ধ্যানে লোহা দ্বারা কামান ও
গুলি তৈরি করা, তাতে বারুদ সংযুক্ত করা এবং আগুনের শক্তিতে গুলি সতেজ হওয়া।
অতঃপর সে গুলি বক্ষে বিদ্ধ হওয়া আবার তা থেকে সুড়ঙ্গ সৃষ্টি হওয়া, ধীরে
ধীরে সে সুড়ঙ্গ বড় হতে থাকা এবং পরিশেষে তাতে কাল্পনিকভাবে বিলীন হওয়া।
অর্থাৎ মিথ্যামিথ্যিভাবে কল্পনায় ফানা বা বিলীন হওয়া।
মাওলানা রুমীর বাণী,
“খেয়ালাতে না-দানে খেলোয়াত নাশিন,
বাহাম বরকুনাদ্ আকেবাত্ কুফরওয়াদিন।”
তিনি আরও বলেন,
“কারে পাকান-রা-কিয়াস্ আজ খোদ্ মগির,
গারচে মান্দ বাশাদ দরনাবেশ্তান সেরও সীর।”
মোটকথা, এটাও তো ফানা নয়, বরং ফানার ওপর একটা অনুমানের বোঝা চাপানো। বলুন
তো, ফানার সময় খেয়াল ও কল্পনাকে ফানা করতে হয় কি না? যদি ফানা করতেই হয়,
তাহলে কলেমার আঘাতে কেন ফানা করা হচ্ছে না? লোহার শিবলিঙ্গের দ্বারা কী করে
ফানা হবে? এটাতো ফানা নয়; বরং ফানা হওয়ার পথে বাধা। কারণ ফানায় স্বীয় দেহ ও
ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত করতে হয়। যাতে উহাতে আর কখনো কোনো প্রকার
ইন্দ্রিয়ানুভূতি সৃষ্টি না হয় এবং ইহজাগতিকতায় জড়িয়ে না যায়। ধ্যানে যে
সুড়ঙ্গের কল্পনা করতে হয়, সেটা তো ইহজগৎ এবং এ স্থানেই। সুড়ঙ্গের মধ্যে যে
স্থান অনুমিত হয়, তা আপন দেহের চেয়ে অনেক কঠিন। তার বিলোপ সাধনের জন্য কী
ধরনের কামান প্রয়োজন? স্মরণীয় যে, আল্লাহর তাওহীদের ভিতর কোনো প্রকার
অসত্যের প্রবেশাধিকার নেই। সেক্ষেত্রে এতসব অবাঞ্চিত কল্পনা কী করে বৈধ হতে
পারে? এবং এর দ্বারা কী করে তাওহীদ অর্জিত হতে পারে? অতএব তাওহীদের
ক্ষেত্রে যাদের এরূপ চিন্তাভাবনা হতে পারে, উপবিষয়সমূহে অনুরূপ আচরণ করতে
তারা কি কখনো ছাড়বে? মুর্শিদের ধ্যানের যদি কোনো উপকারিতা ও প্রভাব না
থাকে, তাহলে লোহার কি প্রভাব থাকতে পারে? লোহার কল্পনা কেন করতে হবে?
মানসিক উপকারিতার জন্য, না আত্মিক উপকারিতার জন্য? অভ্যন্তরীণ উপকারিতার
জন্য, না বাহ্যিক উপকারিতার জন্য, না মানবিক উপকারিতার জন্য? তাতে মৌল
রশ্মি, না রূপক রশ্মি কোন্টা আছে যে, তার ধ্যান বা কল্পনা করতে হবে? অথচ যে
মুর্শিদের ভিতর উক্ত সমস্ত গুণাবলি বিদ্যমান, তিনি দূরে থাকুন অথবা কাছে
থাকুন, তাঁর বাহ্য রূপ কল্পনা করা হোক বা আসল রূপ, সর্বাবস্থায় যার দ্বারা
প্রভাবিত বা উপকৃত হওয়া যায়, তাঁর ধ্যান করা যাবে না কেন? মুর্শিদের যদি
ধ্যান করা না যায়, তাহলে মুর্শিদ দ্বারা লাভ কী? কামানের কল্পনার সময় শয়তান
যদি কামানের রূপ ধারণ করে, তাহলে কী হবে? এক গোলার আঘাতে সমস্ত ধ্বংস করে
দেবে। কারণ শয়তান সব রূপ ধারণ করতে পারে, কিন্তু রাসূল (সাঃ) এবং রাসূলের
রূপে বিলীন ব্যক্তির রূপ ধারণ করতে পারে না। কারণ রাসূল (সাঃ) এর রূপে
বিলীন ব্যক্তির রূপ রাসূলেরই অনুরূপ এবং তিনিই পরিপূর্ণ মানুষ। তাঁর রূপও
শয়তান ধারণ করতে পারে না। তাই হাদিস শরীফে আছে: يفر الشيطان من ظل عمر (ইয়া
ফিররুশ শায়তানু মিন জিল্লি ওমর) অর্থাৎ, হযরত ওমর (রাঃ)-এর ছায়া দেখলে
শয়তান পালায়। সুতরাং মুর্শিদ না থাকলে শয়তানের হাত থেকে রক্ষা নেই। الرفيق
شم الطريق (আর রাফিকো ছুম্মাত্ তারিকো) অর্থাৎ, প্রথমে মুর্শিদ পরে সাধনা ও
সিদ্ধি।
“চো খালিল আ-মদ খেয়াল ইয়ারে মান
ছোরতাস বুৎ মা’না আও বুৎ শেকান।”
যে ব্যক্তি মুর্শিদের ভিতরের রহস্য সম্পর্কে অবহিত নয়, সে মুর্শিদ
সম্পর্কে কী জানবে? শুধু মুর্শিদের নাম লেখা এবং তাঁর পরিচয়নামা সঙ্গে
রাখায় কী উপকার? তাঁর ত্বরিকার নাম জপলেই তা হাসিল হবে না। আর অযথা বার বার
নাম জপ করায় নাম বিলুপ্ত হয় মাত্র। এতে আরও কিছু আছে। কিন্তু মুর্শিদের
মধ্যে যে মানবিক ফায়েজ বা উপকারিতা পাওয়া যায় তাতে দয়াময়ের মহান দান
অন্তর্ভুক্ত। এ কারণেই মুর্শিদে বিলীন হওয়া বেলায়েতের প্রথম সোপান বা
সিঁড়ি। মুর্শিদের মধ্যে মানবিক ফায়েজ না থাকলে মুর্শিদের কোনো প্রয়োজনই হত
না। সুতরাং এ ফায়েজ বা প্রচুর কল্যাণ অর্জন করতে হলে ভক্তি, ভালোবাসা ও
ধ্যান প্রয়োজন। ভালোবাসাহীন ভক্তি বা বিশ্বাসে তেজ নেই এবং স্মরণ ও
ধ্যানহীন ভক্তি ভালোবাসা বিস্মৃতিরই নামান্তর। এ তিনটির সমন্বয় হলেই উদ্দেশ
সিদ্ধ হয় এবং লক্ষ্য অর্জিত হয়। এক্ষেত্রে ভক্তি যত বেশি হবে, ধ্যান ও
অনুভব শক্তি তত বাড়বে। তবে যিনি অন্তর্দৃষ্টিবান, তাঁর ধ্যান হবে কাশ্ফ্
পদ্ধতিতে। আর যিনি অনুভূতিশীল বা অনুরূপ তাকে নিজের তরফ থেকে ধ্যান করতে
হবে। তবে উভয় অবস্থাই ভালো। মুর্শিদের ধ্যান অর্থ এই যে, মুরিদ যখন আপন
মুর্শিদের ফায়েজ প্রাপ্ত হতে থাকবে এবং বুঝতে পারবে, মুর্শিদের ফায়েজ অর্থ
কি? তখন সাবধানী সাধক যখনই মুর্শিদকে স্মরণ করবে, তখনই সে আরও অধিক পরিমাণে
ফায়েজ লাভ করবে। তার যিকিরের ক্ষমতা বাড়বে, তার অবস্থার উন্নতি হতে থাকবে
এবং সে তা উপলব্ধি করতে পারবে। যার এ অবস্থা লাভ হয়নি, সে ধ্যান এবং
মুর্শিদের ফায়েজের অর্থ কখনো বুঝবে না। এ কারণেই ধ্যানের ব্যাপারে এদের
আপত্তি বা বিরোধিতা।
ধ্যান বিরোধিরা ফায়েজ বা মুর্শিদের মহা দান এবং
তাসাউফের অর্থ জিজ্ঞেস করে। বস্তুত তারা জানে যে, ফায়েজের আভিধানিক অর্থ
পুরস্কার এবং সংবাদ প্রকাশিত হওয়া। আর তাসাউফ অর্থ কল্পনা বা ধ্যান। কিন্তু
এরা এর মর্মার্থ বোঝে না। এ পর্যায়ে অনেক সাধকেরও ধ্যান সাধনায় দ্বিধা ও
সংশয় রয়েছে। তারা মুর্শিদের ধ্যানে মুর্শিদের প্রকৃত রূপের ধ্যানও কল্পনা
করতে পারছে না। তা হলেও মুর্শিদের ফায়েজ থেকে তারা সম্পূর্ণ বঞ্চিত হয় না। এ
বিষয়ে সাধকদের কোনো প্রকার সংশয় থাকা উচিত নয়। কারণ যখন মুর্শিদের ফায়েজ
লাভ হয় অর্থাৎ নিজের অবস্থাদি দ্বারা বুঝতে পারে যে, এ ফায়েজ মুর্শিদের তরফ
থেকে প্রেরিত, তখন যদি মুর্শিদের ধ্যান না করা হয়, তাহলে সে ফায়েজ স্থায়ী
হয় না। এটাও এক প্রকার ধ্যান। কেননা ধ্যান-ধারণা অনেক প্রকার। যেমন: আবেগের
ধ্যান, কাশ্ফের ধ্যান এবং বিশ্বাস ও ভক্তির ধ্যান। কাশ্ফের ধ্যানে দেখতে
হবে কাশ্ফের দৃষ্টি দিয়ে। আর আবেগের ধ্যানে দেখতে হবে আবেগের দৃষ্টি দিয়ে
এবং ভক্তির ধ্যানে দেখতে হবে ভক্তির দৃষ্টি দিয়ে। এটাও ভালো; বরং এক হিসেবে
মৌলিক। কারণ ভক্তির জোরে কাশ্ফ ও ধ্যান ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। ভক্তিমূলক
ধ্যানশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তির জন্য এটাই যথেষ্ট। কারণ যার কাশ্ফ এবং
ধ্যানশক্তি আছে কিন্তু ভক্তি বা বিশ্বাস নেই, সে ব্যক্তি মৃত। কিন্তু যার
কাশ্ফ এবং ধ্যান নেই, ভক্তি বা বিশ্বাস আছে, সে ব্যক্তি অকপট দ্বিধাহীন।
কোনো কোনো সাধক বা শিষ্যের মধ্যে দ্বিধা এবং হতাশা সৃষ্টি হয়। তারা মুর্শিদ
সম্পর্কে অন্যায়ভাবে খারাপ ধারণা করে যে, মুর্শিদ বড় নিষ্ঠুর, হয়ত
আমাদেরকে কিছুই দেবেন না। এটা খুবই খারাপ এবং বঞ্চিত হবার লক্ষণ।
মোজাদ্দেদ
(রঃ)-এর ভাষায়,
“আগার হোব্বে খোরদে লাহো সাকুক দারাদ্ দরিঁয়ে রাহ্
কদম মানদান হীচ সূদ্মান্দ নিস্ত।”
অর্থাৎ, “এ পথে দ্বিধাগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোনো কল্যাণ নেই।” এ ধরনের
শিষ্যদের অবিলম্বে তওবা করা কর্তব্য। কারণ মুর্শিদের কৃপা লাভ করা উচিত,
অসন্তুষ্টি নয়। এ ধরনের হতভাগ্য শিষ্য ব্যক্তিগতভাবেই অপদার্থ। তবুও
মুর্শিদ তাকে সুনজরেই দেখেন এবং আশীর্বাদ করেন। বস্তুত সে শিষ্য কিছু না
কিছু উপকার অবশ্যই পাচ্ছে। সে যদি তওবা করে, তবে কুলক্ষণ কেটে যাবে।
কোনো কোনো সময়ে শিষ্যদের মধ্যে আবেগ প্রবণতা এবং অস্থিরতার সৃষ্টি হয়,
প্রেমের কারণেই এটা হয়। কারণ প্রেমিক বিচ্ছেদে স্থির থাকতে পারে না।
কবির
ভাষায়,
“হাফতে দরিয়া গর বানুশম তর নাকুনাম কামরা
শরবত দিদার বায়াদ্ তেশনায়ে দিদার রা”।
অর্থাৎ, “সাত সাগরের পানি পান করেও তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা মিটে না।” নবী
অলীদের এ রকম অবস্থা হয়। এটা ভালো। তবে আল্লাহর সত্তা অসীম বিধায় এ পর্যায়ে
নিজেকে সংযত করা উচিত। তা না হলে দেওয়ানা বা মজ্জুব হয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়।
কিন্তু দেওয়ানা এবং মজ্জুবদের ভাগ্য প্রসন্ন হয়ে থাকে এবং অধিকাংশ কুতুব ও
আবদাল এবং উত্তম ব্যক্তিত্ব তাদের মধ্য থেকেই আবির্ভূত হন।
( মাতলাউ’ল ঊ’লূম )
»হযরত আহম্মদ আলী ওরফে বাবা জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রঃ)