পৃষ্ঠাসমূহ

রুমীর কবিতা

রুমীর কবিতা ও তার বাণীসমুহ:-
========================
১।এই পথটা তোমার, তুমি পথ চলো একা
তোমার চলার পথে হয়ত কেউ সঙ্গী হবে
কিন্তু তোমার পথটা অন্য কেউ হেঁটে দিবে না।
~ জালালুদ্দিন রুমী

২। তুমি হয়ত শাখা-প্রশাখায় যা কিছু খুঁজে বেড়াচ্ছ, তা শুধু শেকড়েই পাওয়া যায়। ~ রুমী
৩। শুধুমাত্র এই হৃদয় দিয়েই তুমি আকাশ ছুঁতে পারো।"  -- রুমী
৪। আঁকড়ে ধরে রাখা আর চলে যেতে দেয়ার এক ভারসাম্য হলো জীবন। ~ রুমী
৫। "গলে যাওয়া বরফের মতন হও। নিজেকে দিয়ে নিজেকে ধুয়ে দাও।" -- রুমী
৬। "দুঃখ করো না। তুমি যা হারাও তা অন্য কোন রূপে তোমার কাছে ফিরে আসে।" -- রুমী
৭। "তোমার চালাকি বিক্রি করে মুগ্ধতা কিনে নিয়ে এসো।" -- রুমী
৮। "তুমি যখন পথ ধরে হাঁটতে শুরু করবে, সামনের পথ তখন স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে।" -- রুমী
৯। "তুমি জন্মেছিলো দু'টি ডানা নিয়ে। কেন তবে জীবনভর হামাগুড়ি দিতেই তোমার এত পছন্দ?" -- রুমী
১০। তুমি যে কষ্টদের সহ্য করছ তারা তোমার কাছে বার্তাবাহক হয়ে এসেছে, তাদের কথা শোন। ~ রুমী
১১।কড়া নাড়ো, তিনি তোমায় দরজা খুলে দেবেন
বিলীন হয়ে যাও, তিনি তোমায় সূর্যের মত উজ্জল করবেন
লুটিয়ে পড়ো, তিনি তোমায় বেহেশতে তুলে নেবেন
নিজেকে রিক্ত করো, তিনি তোমায় সবকিছু দিয়ে পূর্ণ করবেন।
 ~ জালালুদ্দিন রুমী
১২। তোমার নিজের হৃদয়ের মাধুর্য খুঁজে বের করো, তখন সম্ভবত সবার হৃদয়ের মাধুর্য তুমি খুঁজে পাবে। ~ জালালুদ্দিন রুমী
১৩।"সমস্ত উদ্বেগ মুছে ফেলে একদম মুক্ত হয়ে যাও,
চিন্তা করো তার কথা যিনি সকল চিন্তাকে সৃষ্টি করেছেন। 
যখন সমস্ত দ্বার এখনো এত অবারিত
কেন তুমি তবু বন্দীশালাতেই বাস করো?"
 ~ রুমী
১৪। অনেক মানুষ দেখেছি যাদের জড়িয়ে রাখার মতন কোন কাপড় ছিলো না,
অনেক কাপড় দেখেছি যা যাদের জড়িয়ে রেখেছিলো তারা মানুষ ছিলো না।
~ জালালুদ্দিন রুমী
১৫। প্রার্থনাগুলো কুয়াশাকে দূর করে দিয়ে প্রাণের শান্তিকে ফিরিয়ে এনে দেয়।~ জালালুদ্দিন রুমী
১৬। যাও, তোমার নিজ হৃদয়ের দরজায় কড়া নাড়ো। ~ রুমী
১৭। তুমি যদি তোমার মাঝে আমাকে খুঁজে না পাও তাহলে আর কোথাও পাবে না কোনদিন। আমি তো তোমার মাঝেই ছিলাম, আমার সূচনা থেকে। ~ জালালুদ্দিন রুমী
১৮। সৌন্দর্য আমাদের চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে। ~ রুমী
১৯। নীরবতার মাঝে উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়। ~ জালালুদ্দিন রুমী
২০। খাঁচার বন্দীশালা থেকে তুমি পালিয়েছ,
তোমার ডানা দু'টো তুমি মেলে ধরেছ,
এবার উড়াল দাও।
~ জালালুদ্দিন রুমী
২১। "হতাশ হয়ো না! কেননা সবচেয়ে তীব্র হতাশার মূহুর্তগুলোতে আল্লাহ আশার আলো পাঠিয়ে দেন। ভুলে যেয়ো না, চারপাশ আঁধার করে আসা ঘনকালো মেঘ থেকেই তুমুল বৃষ্টিটা হয়ে থাকে।" ~রুমী
২২। "তুমি ভালোবাসা খুঁজতে যেয়ো না, ও তোমার কাজ নয়। বরং খেয়াল করে দেখো তোমার ভিতরে কী কী প্রাচীর তুমি গড়ে তুলেছ যা তোমাকে ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করছে।"  -- জালালুদ্দিন রুমী
২৩। "তোমার কাছে যা-ই আসুক না কেন তুমি কৃতজ্ঞ থেকো, কেননা তোমার কাছে যা পাঠানো হয় তা তার পক্ষ থেকে পথনির্দেশ।" -- জালালুদ্দিন রুমী
২৪। "বিশ্বজগতের সবকিছু তোমার মাঝেই আছে। নিজের ভেতর থেকেই খুঁজে নাও সব।" --- জালালুদ্দিন রুমী
২৫।"যখন তোমার শরীরের চিন্তা ও চাওয়ার উর্ধে এসে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে, তখন এমনিতেই একদম নতুন এক জগতে প্রবেশ করবে।"-- জালালুদ্দিন রুমী
২৬। তোমার চোখের পাতা আমার হৃদয়ে যে কবিতা লিখবে, সে কবিতা কোন কবির কলম থেকে বের হবেনা কোনদিন। ~ জালালুদ্দিন রুমী
২৭। কিন্তু তুমি কি এমন কারো কথা ভাবতে পারো যে ধোঁয়াচ্ছন্ন অস্পষ্ট নয়? -- জালালুদ্দিন রুমী
২৮। "তুমি যা খুঁজছ সেটাও আসলে তোমাকেই খুঁজছে।" -- জালালুদ্দিন রুমী
২৯। সত্য হৃদয়কে উঁচুতে তোলে, যেমন করে পানি তৃষ্ণা মিটিয়ে সতেজ করে। -- জালালুদ্দিন রুমী
৩০। তোমার বন্ধু হতে চেয়ে আমি আমার নিজের শত্রু হয়েছি -- জালালুদ্দিন রুমী
৩১। তুমি যা ভালোবাস তার সৌন্দর্যময়তার প্রকাশ হোক তোমার কাজগুলো। -- জালালুদ্দিন রুমী
৩২। এমন একটা দিন
       যেদিন বাতাসটা একদম যথযথ
       যখন পাল তুলে রওনা হওয়া দরকার
      পৃথিবীটা অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে আছে।
      এমনই একটি দিন
      আজকের দিন।
      ~ জালালুদ্দিন রুমী
৩৩। আর এখনো, এত দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও
        সূর্য কখনো পৃথিবীকে বলেনি,
        'তুমি আমার কাছে ঋণী।'
        চেয়ে দেখো, এমন ভালোবাসা কী করেছে,
        এই সুবিশাল আকাশ হয়েছে আলোকিত।
        ~ কবি জালালুদ্দিন রুমী
৩৪। পাখিরা তাদের স্বাধীনতায় আকাশের শূণ্যে বৃত্ত এঁকে ঘুরে ঘুরে উড়ে।
       তারা কীভাবে শেখে সেটা?
       তারা শূণ্যে থেকে পড়ে যায়, যেতেই থাকে,
       আর তাদের রয়েছে ডানা।
     ~ জালালুদ্দিন রুমী
৩৫। বসো, স্থির হও, আর খেয়াল করে শোনো,
কারণ তুমি কিন্তু এখন মাতাল,
আর আমরা আছি ছাদের একদম কিনারায়।
~ জালালুদ্দিন রুমী
৩৬। নিজ চিন্তাগুলোর হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। ~ রুমী
৩৭। একটা কন্ঠ আছে যে কোন শব্দ উচ্চারণ করে না। কান পাতো, শোনো। ~ জালালুদ্দিন রুমী
৩৮।একটু ঠান্ডা হও, শুধুমাত্র আল্লাহর হাতই তোমার হৃদয়ের এই ভার সরানোর ক্ষমতা রাখে। ~ জালালুদ্দিন রুমী
৩৯। তুমি জন্মেছিলে
       অমিত সম্ভাবনা নিয়ে,
       বিশ্বস্ততা আর কল্যাণ নিয়ে,
       আদর্শ আর স্বপ্ন নিয়ে
       বিশালতা নিয়ে,
       উন্মুক্ত ডানা নিয়ে।
       তুমি হামাগুড়ি দিতে আসনি,
       এভাবে আর নয়, থেমে যাও।
       তোমার আছে ডানা, মেলে দাও
       উড়তে শিখে দূরে হারিয়ে যাও।
       ~ জালালুদ্দিন রুমী
৩৯। যখন তোমাকে দিতে চেয়ে কেউ  হাতে স্বর্ণ তুলেছে, তখন তোমার হাতের দিকে তাকিয়ো না, কিংবা স্বর্ণের দিকেও না। যে দিচ্ছে তার দিকে তুমি তাকাও। ~ রুমী [মসনবী, দ্বিতীয় খন্ড]
৪০। "তুমি তো সমুদ্রের মাঝে কোন জলবিন্দু নও, তুমি এক ফোঁটা জলবিন্দুর মাঝে সম্পূর্ণ এক সমুদ্র।" ~ জালালুদ্দিন রুমী
৪১। তুমি সারা পৃথিবীতে সম্পদ খুঁজে বেড়াচ্ছ, অথচ সত্যিকারের রত্নভান্ডার রয়েছে তোমার নিজের ভেতরেই। ~জালালুদ্দিন রুমী
৪২। "তোমার ভেতর এক সকাল অপেক্ষায় আছে উজ্জ্বল আলো হয়ে বিস্ফোরিত হবে বলে।"  --- পারস্যের কবি জালালুদ্দিন রুমী
৪৩। "কষ্টের উপশম কষ্টের মাঝেই আছে।" ~জালালুদ্দিন রুমী
৪৪। "যদি কবিতার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে বসন্তও ফিরে ফিরে আসবে।"-- রুমী
৪৫। "তোমার কিছু চিন্তাকে ঘুম পাড়াও! ওদের ছায়া হতে দিও না, তোমার অন্তরের চাঁদটাকে ঢেকে ফেলে যে ছায়া। ছায়ারূপী ভাবনায় নিমগ্ন থেকো না।"-- রুমী
৪৬। "আমি সমস্ত কাঁটা তুলে ফেলতাম! কিন্তু তুমি আবার ফিরে এলে, আমার কন্টকময়তাকেই করে তুললে পাঁপড়িশোভিত সুগন্ধময়।" -- রুমী
৪৭। ​আল্লাহ তোমাকে একটা অনুভূতি থেকে আরেকটা অনুভূতির দিকে ঘুরিয়ে দেন এবং এই বিপরীতধর্মী দুই অনুভূতি দিয়ে তোমাকে কিছু শেখাতে চান, যেন তুমি তোমার দু'টো ডানা দিয়ে উড়তে পারো, একটি দিয়ে নয়! ~ জালালুদ্দিন রুমী​
৪৮। "এমন কি যখন পৃথিবী দগ্ধ হয়, সুপ্ত বীণার তান তখনও বেজে যায়।" -- রুমী
৪৯। "গ্রন্থি পড়ুক সহস্র, রজ্জু কিন্তু একটাই!" -- রুমী

 (এইটার ফাজলামি অনুবাদ হলোঃ যতই গিট্টু বাঁধো, দড়ি কিন্তু একখানাই আছে!)
৫০। "ভালোবাসার বাগানে অনন্ত শ্যামলিমা বিরাজ করে। সেখানে দুঃখ কিংবা সুখ ছাড়াও অজস্র ফল ফলে।" -- রুমী।
৫১। "একটা প্রদীপ হও, অথবা প্রাণরক্ষাকারী কোন তরী, কিংবা উর্ধ্বগামী কোন সিঁড়ি। কারো হৃদয়ের যন্ত্রণার উপশম করো।"--রুমী
৫২। "একটু ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করো। এমনভাবে যে, তুমি দেখছো, এবং মহাবিশ্বও দেখছে তোমাকে।"~রুমী
৫৩। "একটি গোলাপের উপমা এই ভালোবাসা, যে প্রস্ফুটিত হয় অনন্তকাল।" ~রুমী
৫৪। "আমি পাখির মত করে গাইতে চাই, যে চিন্তা করেনা কে শুনলো এবং কে কী ভাবলো।" ~কবি জালালুদ্দিন রুমী
৫৫। "আমি জানি তুমি ক্লান্ত, কিন্তু তবু এসো এদিকে, হ্যাঁ এটাই সামনে যাবার পথ~রুমী
৫৬। "আর এই যে তুমি? কখন তুমি তোমার নিজের মাঝে দীর্ঘ সেই যাত্রাটি শুরু করব~রুমী
৫৭। "চাঁদকে উজ্জ্বল দেখা যায় যখন সে রাতকে এড়িয়ে যায় না।"-- রুমী
৫৮। "তুমি আমাকে ভালোবাসো আমার কারণে নয় বরং তোমার নিজের অভিজ্ঞতার কারণে... তুমি আমার দিকে ফিরে তাকাও তোমার নিজের আবেগকেই অনুভব করতে।"-- রুমী
৫৯। "গতকাল আমি চতুর ছিলাম তাই পৃথিবীকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। আজ আমি বুদ্ধিমান হয়েছি, তাই নিজেকেই বদলে দিচ্ছি।"-- রুমী
৬০। "তোমার হৃদয়ের গভীরে একটি প্রদীপ আছে, জ্বেলে দিতে তৈরি হও।
তোমার আত্মায় গহীন শূণ্যতা আছে, তাকে পূর্ণ করতে তৈরি হও।
তুমি তা অনুভব করতে পারছ, তাইনা?"
~ রুমী
৬১। "তোমার শব্দকে উঁচু করো, কন্ঠ চড়িয়ো না। কারণ, বৃষ্টিই ফুলকে প্রস্ফুটিত করে, বজ্রপাত নয়।"-- জালালুদ্দিন রুমী
৬২। "ভোরের মৃদু হাওয়া এসে তোমাকে পরশ বুলিয়ে একটি গোপন রহস্য বলে যায় -- আবার ঘুমাতে যেয়ো না"-- জালালুদ্দিন রুমী
৬৩। "তোমার জীবন দিয়ে আগুণ জ্বালাও। এবার খুঁজে নিয়ে আসো তাদেরকে যারা তোমার এই অগ্নিশিখার ভক্ত।" -- কবি জালালুদ্দিন রুমী
৬৪। "তুমি হৃদয়ের যতই গভীর থেকে গভীরে স্থান নেবে, তার প্রতিবিম্ব ততই হবে পরিষ্কার ও ঝকঝকে।" --- কবি জালালুদ্দিন রুমী
৬৫। "যদি আলো থাকে তোমার হৃদয়ে ওই, ঘরে ফেরার পথ খুঁজে পাবে অবশ্যই।" -- রুমী
৬৬। "আমি তো শিখেছি প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। কিন্তু জীবনের স্বাদ পাবে খুব অল্প কিছু প্রাণ।" -- জালালুদ্দিন রুমী
৬৭। "তুমি এখন চুপ করো। যিনি পৃথিবীর সকল শব্দগুলোকে সৃষ্টি করেছেন তাকেই কথা বলতে দাও। তিনিই দরজা সৃষ্টি করেছেন, তিনি তালা সৃষ্টি করেছেন এবং তার চাবিও তিনিই সৃষ্টি করেছেন।" -- জালালুদ্দিন রুমী
৬৮। "আত্মাকে শোনার ক্ষমতা দিয়ে যে কান দান করা হয়েছে তা এমন কিছু শুনতে পায় মন যা বুঝতেও পারে না।" -- জালালুদ্দিন রুমী
৬৯। "অন্যদের জীবনের ঘটনাগুলো কেমন করে ঘটেছে, অন্যদের গল্প শুনে সন্তুষ্ট হয়ে যেয়ো না। নিজ জীবনের লুকিয়ে থাকা কল্পকাহিনীর পর্দা উন্মোচিত করো।" ~রুমী
৭০। "তোমার হৃদয়টাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ভাঙ্গতে থাকো যতক্ষণ পর্যন্ত তা না খুলে যায়।" ~ রুমী
৭১। "তোমার আলোয় আমার ভালোবাসতে শেখা, তোমার সৌন্দর্যে শিখেছি আমি কবিতা লেখা।"~ রুমী
৭২। "এখনই কি তোমার হৃদয়কে আগুণের দুর্গ বানিয়ে ফেলার সময় নয়?" ~ রুমী
৭৩। নিশ্চুপ হয়ে নিজের ভেতরে বয়ে চলা তরঙ্গের শব্দমালা শুনুন। ~ রুমী
৭৪। বিদায় কেবল তাদের জন্য যারা তাদের কেবল চোখ দিয়ে ভালোবাসে। কেননা, যারা হৃদয় এবং আত্মা দিয়ে
৭৫। ভালোবাসে তাদের জন্য বিচ্ছেদ বলে কিছু নেই। ~জালালুদ্দিন রুমী
৭৬। সকল স্নিগ্ধ, সুন্দর আর মোহনীয় বস্তু তাদের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে যারা দেখতে পায়। ~ জালালুদ্দিন রুমী
৭৭। তাকে ভালোবাসবে​ বলে বেছে নাও​ যে কখনো মরে যায়​ না। ~ জালালুদ্দিন রুমী
৭৮। তুমি যত বেশি নিশ্চুপ থাকবে, তত বেশি শুনতে পাবে। ~ জালালুদ্দিন রুমী
৭৯। তোমার দু'টো চোখকেই বন্ধ করে দাও
       যদি অন্য চোখটি দিয়ে দেখতে চাও।
      ~ জালালুদ্দিন রুমী
৮০। আমাকে দেখতে অস্থির মনে হতে পারে, কিন্তু আমার গভীরে আমি শান্ত ও স্থির। গাছের শাখারা দুলতে থাকে কিন্তু তার শেকড় থাকে দৃঢ়। ~ জালালুদ্দিন রুমী
৮১। তুমি যদি প্রকৃত ভারসাম্য অর্জন করতে না পারো তাহলে যে কেউ তোমাকে প্রতারিত করতে পারবে। ~ জালালুদ্দিন রুমী
৮২। কারো চোখের মাঝে যে আলো জ্বলে সে আসলে তার হৃদয়ে জ্বলে থাকা আলো। ~ জালালুদ্দিন রুমী
৮৩।  ​বাতিগুলো আলাদা হলেও তাদের আলো ঠিক একইরকম। ~ জালালুদ্দিন রুমী​
৮৪। শান্ত হও, নড়াচড়া করো না! নীরবতার সাথে সখ্যতা করে নাও। আরো গভীরে যাও, তোমার হৃদয়ের গহীনে ডুব দাও। সমস্ত কোলাহল থেকে একটি দিনের জন্য ছুটি নাও।~জালালুদ্দিন রুমী
৮৫। ভালোবাসার কোন ভিত্তি বলতে কিছু নেই। এটা এমন এক অশেষ সমুদ্র যার শুরু নেই, শেষ নেই। ~জালালুদ্দিন রুমী
৮৬। আল্লাহ তোমাকে একটা অনুভূতি থেকে আরেকটা অনুভূতির দিকে ঘুরিয়ে দেন এবং এই বিপরীতধর্মী দুই অনুভূতি দিয়ে তোমাকে কিছু শেখাতে চান, যেন তুমি তোমার দু'টো ডানা দিয়ে উড়তে পারো, একটি দিয়ে নয়! ~ জালালুদ্দিন রুমী
৮৭। হে আমার আত্মার পাখি, যাও এখনি উড়ে যাও! আমার তো রয়েছে প্রাচীরঘেরা শত দুর্গ। ~ জালালুদ্দিন রুমী
৮৮। আমি ভেবে কুল পাইনা আমি কতবার তোমাকে দিবো বলে
        উপহার খুঁজে বেড়িয়েছি এখানে-ওখানে
        তবু কিছুকেই তোমার জন্য সঠিক বলে মনে হয়নি।
       স্বর্ণকে সোনার খনিতে ফিরিয়ে এনে,
       পানিকে বিশাল সমুদ্রে নিয়ে আসার যৌক্তিকতা কী?
       আমার হৃদয় আর গোটা সত্ত্বা তোমায় দিয়ে লাভ নেই
       কেননা সেগুলো তো ইতোমধ্যেই তোমার হয়ে গেছে।
       তাই আমি এনেছি একটি আয়না
       তার মাঝে তুমি তোমায় দেখ এবং আমায় স্মরণ করো।
       ~ জালালুদ্দিন রুমী