পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

যাদুকর ও মনার ভোঁ দৌড়

মীরপুর ১নং শাহ্ আলী (রহঃ) মাজার গেটের কাছে বেশ একটা জটলা দেখা যাচ্ছে। চারদিক থেকে গোল হয়ে সেই জটলা একটা সময়পর বেশ বড়ো সড়ো আকার ধারণ করলো। মনা পাগলা বেশ আগ্রহ নিয়ে সেই জটলার মধ্যে ছেলেমানুষের মতো বসে বসে দেখছে। কি দেখছে? দেখছে একজন যাদুকর তার যাদু দেখাচ্ছে। যাদুকরের বেশভুষা আহমরি কিছু নয়। দেখতেও খুব একটা সুশ্রী বলা যাচ্ছে না। কিন্ত্তু তার কথা-বার্তার ধরণ এবং যাদু দেখে হাজারো মানুষকে আকৃষ্ট করছে। সেই যাদুকর একটা ডিম বল হাতে নিয়ে সবাইকে দেখাচ্ছে আর বলছেঃ

-বাই আমার আতে এইড্যা কি দেখতাচ্ছেন? একটা ডিম বল। তাই না ? কি বাই ? কতা কন্ন্যা ক্যা ?

জনসমুদ্র হতে অনেকেই চিৎকার করে বলছেঃ

-হ এইডা একটা ডিম বল। 

যাদুকর বললোঃ

প্রয়োজন হইলে আপনেরা হাতে নিয়া দেখতে পারেন। তারপর যাদুকর সেই বলটা নিয়ে জনগণকে হাতে নিয়ে দেখাচ্ছে। মনাও বাদ গেল না। সে বলটা হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখে বললোঃ

-হাচাইতো একটা প্যালাষ্টিকের বল। ডিমের লাহান দেহা যাইতাছে।

যাদুকর মনার হাত থেকে বলটা নিয়ে বললোঃ 

-এইবার দেকবেন আসল খেলা।

এই বলে সে বলটাকে তালু বন্ধি করলো। তারপর সে তুড়ি বাজাতেই বলটা গায়েব হয়ে গেল। তার হাতের মধ্যেই যে বলটি ছিল, তা মুহুর্তের মধ্যেই হারিয়ে গেল। সকলেই অবাক হয়ে সেই যাদুকরের দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর সেই যাদুকর বললোঃ

-দেকছেন মুহুর্তের মইদ্যেই বলডা গায়েব হইয়্যা গেল। এহন এই বলটা কই পাই? দেহেন কি করি? বলটাতো আননের দরকার...এই বলে সেই একটি অপরিচিত ছেলেকে বললোঃ

-বাবা হা করতো? ছেলেটা হা করতেই যাদুকর বললোঃ 

-আয়তো...
অায়তো বলার সাথে সাথে বলটা ছেলেটির মুখের মধ্যে চলে এল। সে বলটা সবাইকে দেখিয়ে বললোঃ

-দেকছেন? ডিম মনে কইর‌্যা পুলাডা খাইয়্যা হালাইছিল। আরে বাবা আমার জিনিস তুমি খাইয়্যা হালাইব্যা আর আমি সালাম যাদুকর চাইয়্যা চাইয়্যা দেকমু, হেইড্যা অইবো না....

এবার সে ঐ ছেলেটাকে ডেকে তার কাছে নিয়ে এল। তারপর মুখ খুলতে বললো। ছেলেটা মুখ খুলতেই যাদুকর মুখের ভেতর বলটি ঠেসে ধরে বললোঃ যা গা...বলটা যাদুকরের হাতও নেই ছেলেটির মুখেও নেই। সকলেই মুগ্ধ হয়ে যাদুকরের সেই অভাবনীয় যাদু দেখছে। কারো মুখের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। সকলেই অবাক বিষ্ময়ের সাথে যাদুকরের যাদুর প্রশংসা করছে। এরপর যাদুকর ছেলেটিকে বসতে বললো। ছেলেটা বসলো। যাদুকর ছেলেটির পিঠের উপর দুইটা থাপ্পর মেরে বললোঃ বাইর অ। কথা বলা শেষ হতেই দেখা গেল বলটি ছেলেটির পশ্চাৎদেশ হতে বের হয়ে এল। এই দৃশ্য দেখে সকলেই হাসিতে ফেটে পড়লো। লজ্জা পেয়ে ছেলেটি দিল ভোঁ দৌড়।

যাদুটি দেখে মনা মনে মনে ভাবছে - এই বিশ্ব বিধাতা তাহলে যাদুকরের মতোই কুন-ফা ইয়া কুন বলে এই জগত সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ "বাদী‘উস্ সামা-ওয়া-তি অল র্আদ্ব অইযা-ক্বাদ্বোয়ায় আম্মান ফা ইন্নামা- ইয়াক্বুলু লাহু কুন্ ফাইয়া-কুন [بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ]।"  অর্থঃ তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন কেবল বলেন ‘হও’ ফলে তা হয়ে যায়। দারুণতো....সে বেশ উৎসাহ বোধ করছে....ঠিক সেই মুহুর্তে

যাদুকর মনা পাগলার দিকে তাকিয়ে বললোঃ

-বাজান আপনে একটু এইদিকে আহেনতো?

মনা তখনো হাসছে। সে হাসতে হাসতে সামনের দিকে গেল। তারপর যাদুকর সকলের উদ্দেশ্যে বললোঃ 

-এতক্ষণতো আপনেরা দেকলেন বলের খেলা। এইবার দেকবেন আশেক-মাশুকের খেলা। প্রেমের খেলা। মায়া মোহাব্বতের খেলা। দেহেন আমার আতে দুইডা পুতুল। একটা বেডা। আর একটা মাইয়্যা। এই পুতুল দুইডা একজন আরেক জনরে ছাড়া থাকতে পারে না। দেহেন কেমুন মোহাব্বত! আর আজ কাইল আমাগো মইধ্যে মোহাব্বত নাই বললেই চলে। বাজান আপনে একটু এই দিকটায় আহেন। এ কথা বলে সে মনাকে টেনে একটু দুরে দাঁড় করিয়ে রাখলো। তারপর একটা পুতুল মনার হাতে দিয়ে বললোঃ 

-বাই এই পুতুলটা এইহানে রাখেন। তারপর এই বাডি দিয়্যা চাইপ্প্যা ধইর‌্যা রাকবেন। খবরদার উডাইবেন না। যহন আমি উডাইতে কমু তহন উডাইবেন। তারপর দেখবেন খেলা। 
এ কথা বলেই যাদুকর তার হাতের পুতুলটি নিয়ে আরেকটি জায়গায় রাখলো। তারপর বাটি দিয়ে চেপে ধরে বললোঃ

-এ্যাই মজনু আয়তো বাবা.....

একথা বলার সাথে সাথে মনাকে বাটিটি উঠাতে বললো। সকলেই অবাক হয়ে দেখলো পুতুলটি সেখানে নাই। সকলেই অবাক হয়ে গেল। যাদুকর তার হাতের বাটি উঠাতেই দেখতে পেল সেই বাটির মধ্যে ছেলে পুতুলটি চলে আসছে। এটা দেখে সকলেই হাত তালি দিতে লাগলো। তারপর সে সেই খেলারই পুণারবৃত্তি করার কথা বলে মনার হাতে মেয়ে পুতুলটি দিয়ে পুর্বের মতোই চেপে ধরে রাখতে বললো। তার পর যাদুকর তার হাতের ছেলে পুতুলটি পুর্বের মতো করেই বললোঃ এ্যাই তরা যা গা। মনাকে বাটি উঠাতে বললো। মনা বাটি উঠালো। যাদুকরও তার বাটি উঠালো। দেখলো কোথাও পুতুল দুটি নেই। 

এটা দেখে তো মনার মাথা খারাপ হয়ে গেল। কেমনে, কি ভাবে হলো?
আশেক মাশুকের টানে থাকতে পারে না। আশেককে ডাকলে অবশ্যই মাশুক হাজির হবার কথা [উচ্চারণঃ"فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوا لِي وَلَا تَكْفُرُونِ অর্থঃ "অতএব তোমরা আমাকেই স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ করব, তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং আল্লাহর বিরুদ্ধাচারী হইও না।"]। কিন্ত্তু আমরা যে বলি আমরা নবীর আশেক। আমরা আল্লাহর আশেক। তাহলেতো নবীর আসার কথা। যে নবীর আশেক, সে যদি ডাকে তাহলে তো অবশ্যই নবী আসবে। আবার যে আল্লাহর আশেক, সে যদি ডাকে তাহলেতো আল্লাহপাকেরও আসার কথা।

একটা সামান্য যাদুকর যদি এটা করে দেখাতে পারে, তাহলে যারা সত্যিকারের আশেক, তারা যদি তার মাশুককে ডাকে, তাহলে তার মাশুক আসবে না কেন? যদি না-ই আসে, তাহলে সে কিরুপ আশেক? অামরা বলি আমরা সবাই পীরের আশেক। তাহলে তার পীর যদি তাকে ডাকে আর সে যদি না যায়, তাহলে সে কিরুপ আশেক? ইশকের আগুনে যদি অন্তরই না পুড়লো, তাহলে সেই অন্তর দিয়ে হাজারো ডাকলে মাওলার দিদার পাওয়া সম্ভব নয়। মাওলার দিদার পেতে হলে তার কথা সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। তিনি যা বলেছেন, তাই অক্ষরে অক্ষরে বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিতে হবে। আশেকের মাশুক হওয়া সহজ ব্যাপার নয়। আশেকের মাশুকের খেলা বড়ো সাংঘাতিক খেলা। 

মনার মনে পড়লো তার গুরু তাকে ডেকে ছিল। সে যেতে পারেনি। তার কাছে যাবার মতো টাকা ছিল না। কারো কাছ থেকে যে টাকা নেবে তারও উপায় নেই। তাহলে সে কি আশেক নয়...সে কি সত্যিই আশেক নয়....

মনার বুক ফেটে কান্না আসছে। সে ভীড় ঠেলে বাহিরে বের হয়ে এল। তারপর ইয়া মুর্শিদ বলে একটা ভোঁ দৌড় দিল।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

বৃষ্টি নিয়ে ভাবনাঃমনা পাগলার চিন্তা

মনার আজ মন ভালো নেই। সে মন মরা হয়ে বসে আছে। মনে হচ্ছে বাহিরের আবহাওয়ার সাথে তার মনের একটা সর্ম্পক তৈরী হয়ে গেছে। এই শ্রাবণ মাসের বারিধারায় স্নাত হওয়া একটা সময় তার সিজোনাল বাথ থাকলেও তা এখন পাল্টে গ্যাছে। তার এই ধরণ সরণ সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নয়। কিন্ত্তু তাকে যারা চেনে,তারা তার এই ধরণ-সরণ সম্পর্কে জানে। তাদেরই একজন হচ্ছেন জামিল ভাই। সেই জামিল ভাই এসে মনার কাঁধে হাত রেখে বললঃ
- কেমন আছেন?
- যেমন দেখছেন?
- দেখছি তো ভালোই আছেন।
- তাহলে ভালোই আছি।
- মন খারাপ কেন?
- ভাবচ্ছি।
- কি ভাবছেন?
- বৃষ্টির কথা...
- বৃষ্টির কথা ! জামিল ভাই কথাটা শুনে অনেকটা ভুত দেখার মতো করে চমকে উঠে বললেনঃ
- মেয়েটা কোথায় থাকে?
-আরে মিয়া, কিয়ের মাইয়্যা...আমি কইতাছি বাইরে যে বিষ্টি অইতাছে,হেইডার কথা..
জামিল ভাই দেখলেন মনা তার আসল রুপে ফিরে গেছে। তাই সে বেশ প্রফুল্ল বোধ করছেন। একটা স্বস্তি পাচ্ছেন। যাক্ শেষ পর্যন্ত মনাকে তার আসলরুপে পাওয়া গেল। তাহলে তার ভাবনার বিষয়টা জানা যেতে পারে....জামিল ভাই আস্তে করে মনাকে বললেনঃ বৃষ্টি সম্পর্কে কি ভাবছেন? সেটা কি বলা যাবে?
মনা দেখলো জামিল কেমন যেন মায়াবি গলায় কথাগুলো বলছে। মনার একটু দয়া হলো। সে ও আস্তে আস্তে করে জামিলকে বললোঃ

- তুমি যদি একটা পাত্রে পানি রেখে জ্বাল দিতে থাকো সেটা বাস্প হয়ে উড়ে যায়। সেটা জমে কখনোই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে না..তাহলে...কি পরিমাণ পানি বাষ্প হলে সেটা জমে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে....মাঝে ....মাঝে শিলাবৃষ্টিও হয়? সুর্যকে কে নির্দেশ দিল পর্যাপ্ত পরিমাণ তাপ দিয়ে পানিকে বাষ্পে পরিণত করতে? না-কি মাটির বুক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে সিক্ত করণের জন্য পানি প্রয়োজন? মাটি কি কান্না করছিল পানির জন্য? যদি কান্না করেই থাকে, তাহলে সেই কান্না আমরা শুনতে পাই না কেন? অার যদি কান্না না করেই থাকে, তাহলে সে কার কাছে পানির জন্য আর্জি প্রার্থনা করছিল?
দ্যাখো,মহান রব মাটির ডাক শুনে বৃষ্টির পানি দিয়ে তাকে সিক্ত করেছেন। যেন শক্ত মাটিগুলো রসালো হয়। রসের জন্য প্রয়োজন পানি। বিধাতা সেই পানি দিয়ে জমিনকে সিক্ত করছেন। কারণ জমিন থেকে যে ফসল উৎপন্ন হবে তা তার বান্দারা আহার করবে। সেই আহার থেকে খাদ্যরস দেহবীজে পরিণত হবে। তারপর নতুন কিছু শিশু দুনিয়াতে আগমণ করবে। কেউ কেউ নির্গমণও হবে। তারপরও কথা থেকে যায়..

- কি কথা?

- যে শিশুটি ভুমিষ্ট হবে সে হবে লাকাদ খালাকনাল ইনসানা ফি অাহসানে তাকবীম। সেই শিশুটিকে তিনি বিভিন্ন ধাপে ধাপে সৃষ্টি করেছেন। যেমন সুরা নুহ আয়াত নং ১৪। বলছেনঃ ওয়াকাদ খালাকা কুম আতওয়ারা.....তিনি (আল্লাহ) গঠন করিয়াছেন তোমাদিগকে উন্নতির নানা মাত্রায় (পর্যায়ক্রমে-বিভিন্ন ধাপে ধাপে)। সেই ধাপগুলো কি কি? একটু চিন্তা করে দেখ। এক সময় তোমার কোন অস্তিত্বই ছিল না। তুমি ছিলে নিরাকার। এরপর তোমার আকার দেয়ার প্রয়োজন হয়েছে। কখন? যখন তুমি নুৎফারুপে ছিলে। সেই নুৎফার উৎপত্তি এই মাটি। ফা ইন্না খালাকনাকুম মিন তুরাবেন [সুরা হজ্জ আয়াত-২২]। তোমাকে গঠন করিয়াছি মাটি হইতে। কিরুপে? ওয়াল্লাহু আনবাতাকুম মিনাল আরদে নাবাতান-সুম্মা ইউয়িদুকুম ফিহা ওয়া ইউখরেজুকুম ইখরাজান [সুরা নুহ আয়াত নং-১৭-১৮]। বরং আল্লাহ তোমাদিগকে উদ্ভুত কয়িাছেন ভুমি হইতে-উদ্ভিদের ন্যায়। অতঃপর তিনি উহাতে তোমাদিগকে ফিরাইয়া লইবেন এবং তিনি তোমাদিগকে সেখান হইতে বাহির করিবেন-এক (নতুন) জাত হিসাবে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো কি জানো? ইনসান সৃষ্টির বিভিন্ন ধাপটি। যেমন সুরা মোমিনুন আয়াত নং-১৪তে বলা হয়েছেঃ 
সুম্মা খালাকনান নুৎফাতা আলাকাতান মুদগাতান। অতঃপর অামরা সেই শুক্রবিন্দুকে দৃঢভাবে আটকাইয়া রাখি(জরায়ুতে)। ফা খালাকনাল মুদগাতা এজামান। পরে সেই দৃঢ়ভাবে আটকাইয়া রাখা বস্তুটাকে পরিণত করি চিবানো গোশতের পিন্ডরুপে। ফা কাসাওনাল এজামান লাহমান। এবং সেই চিবানো গোশতের পিন্ডকে রুপ দেই হাড়-হাড্ডিতে এবং সেই হাড্ডির উপরে দেই আবরণ-অক্ষত গোশতের দ্বারা।ছুম্মা আনশানা-হু খালক্কান আ-খার। অতঃপর তাকে অন্য একটি সৃষ্টি বানিয়ে দাঁড় করিয়েছি। ফাতাবা-রাকাল লাহু আহসানুল খালিকিন। সুতরাং তোমার সৃষ্টিকর্তা সুন্দরতম বরকতময়। 
দ্যাখো আল্লাহপাক কেবল মানব সৃষ্টির ব্যাপারেই কেবল বলেছেন ফাতাবা-রাকাল লাহু আহসানুল খালিকীন। আর অন্য সবার ক্ষেত্রে রাব্বুল আলামিন। খালিক তিনিই যিনি উপাদান ছাড়াই সৃষ্টি করতে পারেন। এ কথাটা কেবল আল্লাহ পাকের ক্ষেত্রেই খাটে। অন্য কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা, এই বিশ্ব ভুমন্ডল কেবল মাত্র মহান জাত পাক আল্লাহ পাকের। কাজেই তার উপাদান দিয়েই তুমি সৃষ্টি করছো। এজন্য তুমি হচ্চো সানে মানে দ্বিতীয় সৃষ্টিকর্তা। যা কেবল ইনসানের ক্ষেত্রেই খাটে। এটা মাজেজি। হাকিকি নয়। পুর্ণ হাকিকি হচ্ছে মহান জাত পাক সুবহান ওয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম। তিনিই হচ্ছেন খালিক। তিনি ব্যতীত আর কেউ এ নামের যোগ্য নন।

মনার কথা শুনে জামিল ভাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন। তিনি ভাবতেই পারেননি বৃষ্টি নিয়ে কেউ এভাবে ভাবতে পারে? মনে মনে তিনি মনার প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাথা অবনত করলেন।