(পুর্ব প্রকাশের পর হতে)
তাছাড়া বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিকাশের যে চারটি পর্যায় আছে তা হল - Hadronic -- এখানে মৌলিক পদার্থ S.N Force দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । Laptonic -- এখানে শক্তি Electron ও Positron দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । Radiative -- এখানে বিস্ফোরণের আলো প্রথম দেখা যায় ও Stellar -- যেখানে Proton ও Electorn যুক্ত হয়ে Hydrozen অণু তৈরি করে তার মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে আলো রূপ জ্যোতি দেখা যায় ।
এই সময় শক্তি জাগরকরা মহাবিভ্রান্তিতে পরে যান। দর্শন না হবার জন্য তাঁরা যে উন্নতি হচ্ছে এ কথাটা তাঁরা বুঝতে পারেন না ।
যতক্ষণ দর্শন ততক্ষণ অলৌকিক বলে যা কিছু মনে হোক না কেন --- আসলে তা একধরণের সীমাবদ্ধতা। যখন দর্শন হারিয়ে জ্যোতির্মণ্ডলে প্রবেশ করা যায় তখন নির্গুন শূন্যতার কাছাকাছি চলে যাওয়া যায়। এই জ্যোতিকে অনেকে সেইজন্য ঈশ্বরের জ্যোতি বা বিভূতি বলে বর্ণনা করেছেন। কিছুদিন এই জ্যোতির্মণ্ডলে ঘোরাফেরার পর শক্তি উত্তোলক নিজেরই মধ্যে দৈবী ক্ষমতা অনুভব করতে পারেন, তখন কোন মানুষের ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান দেখার জন্য ধ্যানযোগ আসনে বসে জগত সত্ত্বার সূক্ষ্ম অংশে জীব কর্মফল প্রক্ষিপ্ত ছবি দেখার প্রয়োজন হয় না।
চোখ বুজলেই এক ধরণের দৈবী ভাষা প্রতীকের মাধ্যমে যেন কথা বলতে আরম্ভ করে। এটি যথার্থই দৈবী সত্ত্বা প্রেরিত কোন সংকেত বা মানুষ নিজেই দৈবী সত্ত্বায় উপনীত হন সেটা ভেবে দেখার বিষয় এবং অবশেষে ধ্যানযোগী নিজেই বলে বসে "আমিই সেই"।
সংকেতময় ভাষাগুলোর অর্থই আমাকে ভেতর থেকে কে বলে দেয় ? সেই অন্তঃস্থলের গভীর রহস্যের স্বরূপ এখনও আমি মিঠু ভেদ করতে পারিনি । জ্যোতির্ময় ধোঁয়ার মতো যে মেঘরূপ ছবি এঁকে আমার সঙ্গে কথা বলে, সেই মেঘই বা কি ?
মাঝে মাঝে মনে হয় "ঈশ্বরের বিভূতি", সত্যিই কি তাই ?
এই জ্যোতির্ময় বিন্দুমণ্ডলের উর্ধ্বে যখন স্বচ্ছ কাঁচের মতো জগত ভেসে ওঠে,আমি মিঠু সেখানে তখন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের প্রতিবিম্ব লক্ষ্য করি। আরও অবাক হই যখন নিবিড় নিদ্রার মতো একটা গভীর প্রশান্তির মধ্যে কিছুক্ষণ হারিয়ে যাই, ফিরে এসে দেহমনকে মনে হয় " স্নিগ্ধ...স্নিগ্ধ...স্নিগ্ধ..."। অপূর্ব এক প্রেম ভালোবাসা ভালো লাগায় তখন আমার সমগ্র চৈতন্য সত্ত্বা ভরে যায়, তখন মনে হয় এই শেষ লাভটুকুই যথার্থ লাভ, আর সবই মিথ্যা। সুখ-সম্পদ, নাম-যশ সবার চাইতে প্রশান্তিই বড়। আল্লাহ্ মানুষকে সবকিছু দিয়ে শুধু এই প্রশান্তিটুকুই নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। নির্বিকার নীরবতায় সেখানে হয়তো আল্লাহর কোলে বসে তাঁরই সঙ্গে আমি মিঠু সেই প্রশান্তিটুকুই ভাগ করে নিই।
অহংকারের থেকে বলছি না, যারা তৃষ্ণার্ত, যাদের ধ্যানযোগী হবার প্রবল ইচ্ছা তাদের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে এই প্রশান্তিটুকু রাখা হলো। এই বলে শেষ করলাম "ধ্যানে দেহ জগত দর্শন''।
Written by:Ariful Islam Mitu
Written by:Ariful Islam Mitu