পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭

ধ্যানে দেহ জগত দর্শন -- পর্ব ৪০

(পুর্ব প্রকাশের পর হতে) 

দেহতত্ত্বের কথা আগেই বলেছি, দেহতত্ত্বে মূলাধারস্থ শক্তি কোন কোন স্তরে উঠলে কি কি রঙ ও দৃশ্য দেখা যায়, তাও বর্ণনা করা হয়েছে । এই দর্শন পর্যায়ে মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান ও মনিপুরী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই দর্শনগুলি হয় পার্থিব দর্শন টেলিপ্যাথি ধরণের। কখনও কখনও কিছু অলৌকিক ছবি উঁকি দিয়ে উর্ধ্বস্তরের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। 

নানা দর্শন অত্যন্ত স্পষ্টভাবে হতে থাকে অনাহুতে, যে স্তরে উঠলে আত্মা দুঃখ বেদনা দ্বারা আহত হয় না, চক্রমন্ডল থেকে আজ্ঞাচক্র পর্যন্ত। এই সময়ের দর্শন সাধারণত আকাশে স্থির গ্রহ গ্রহান্তর ও জগতের সূক্ষ্মাতলে অবস্থিত সূক্ষ্ম আত্মাদের। মাঝে মাঝে কিছু কিছু দৈবীস্বত্ত্বার সাক্ষাৎও মেলে, এঁরা জীবন্তরূপে প্রতিভাত হলেও সিনেমার পর্দায় দেখা ছবির মত, যথার্থ রক্তমাংসের জীব নয়। কিংবা এঁরা হয়তো সত্যিকারেরই জীব -- বেশী মাত্রাযুক্ত। বেশী মাত্রাযুক্ত প্রাণী কম মাত্রাযুক্ত প্রাণীর কাছে আকস্মাৎ আবির্ভূত হতে পারে আবার তেমনই হারিয়েও যেতে পারে। ফলে এঁদের অস্তিত্ব অপরের কল্পনাপ্রসূত তরঙ্গ বিক্ষেপ হেতু কিংবা দর্শকের সংস্কারের প্রক্ষেপ হেতু তা বলা কষ্টকর। কিন্তু এই সময়ে মাঝে মাঝে সুমধুর নানা গন্ধ নাকে এলেও নানা শব্দ শ্রূত হলেও বিভ্রান্তি জন্মে। তখন এই দর্শনকে মিথ্যা বলে মনে হয় না। 

এই দর্শন অত্যন্ত বিরল হয়ে আসে সপ্ততলে উঠার পর। এরপর চৈতন্যশক্তি যখন মেরুদণ্ড পথে সহস্রারের বৃত্ত মণ্ডলে আনন্দলোকে অর্থাৎ বিন্দুর বৃত্তের মধ্যে প্রবেশ করে তখন জ্যোতি ভিন্ন আর কিছুই লক্ষ করা যায়না। এই জ্যোতি হল অনন্ত দেশে শক্তি বিস্ফোরণজনিত প্রথম পর্যায়ের জ্যোতি। তাছাড়া বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিকাশের যে চারটি পর্যায় আছে তা হল - Hadronic -- এখানে মৌলিক পদার্থ S.N Force দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। Laptonic -- এখানে শক্তি Electorn ও Positron দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। Radiative -- এখানে বিস্ফোরণের আলো প্রথম দেখা যায় ও Stellar -- যেখানে Proton ও Electorn যুক্ত হয়ে Hydrozen অণু তৈরি করে তার মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে আলো রূপ জ্যোতি দেখা যায়। এইসময় শক্তি জাগরকরা মহাবিভ্রান্তিতে পরে যান । দর্শন না হবার জন্য তাঁরা যে উন্নতি হচ্ছে এ কথাটা তাঁরা বুঝতে পারেন না। 

(চলবে)
Written by:Ariful Islam Mitu