পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেঃ নিজেদের ফাঁদেই ধরা খেল দেওবন্দী ওহাবীরা

বাংলায় একটি প্রবাদ আছে- বিচার মানি, কিন্তু তাল গাছটা কিন্তু আমার। ঐসমস্ত গোলাবী ওহাবী গংদের অবস্থাও হয়েছে সে রকম। তারা দাবী করে যে, তারা হানাফী, অথচ বিরোধীতা করার সময় লা মাযহাবীদের মত মুজতাহিদ ওলামাগণের বিরোধীতা করে।

ইমামে আহলে সুন্নাত, আলা হযরত আহমদ রেযা খান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ছিলেন উপমহাদেশে হানাফী মাযহাবের স্তম্ভ। এর জলজ্যান্ত প্রমাণ হল তাঁর লিখিত ফতোয়ায়ে রজভীয়্যাহ শরীফ। এই ফতোয়া গ্রন্থে তিনি হানাফী মাযহাবের সকল মাসয়ালা কে দলিল প্রমাণের ভিত্তিতে অকাট্যভাবে প্রমাণ করেছেন। তার অতুলনীয় জ্ঞান-প্রজ্ঞার বাস্তব চিত্র যেন ফুটে উঠেছে এই ফতোয়া গ্রন্থে- যা স্বীকার করে নিয়েছে দেওবন্দী রথী মহারথীরা। এছাড়া এদেশিয় গোলাবী ওহাবীদের স্বগোত্রীয় আলিম ড. একেএম মাহবুবুর রহমান সাহেবও তা স্বীকার করেছেন।

গোলাবী এবং দেওবন্দী ওহাবীরা বেশ কয়েকদিন ধরে মাসয়ালাগত বিষয়ে আ'লা হযরতের উপর দোষারোপ করে চলেছে। তাদেরই দলভুক্ত এক মূর্খ, বেয়াদব, নালায়েক তাজিমি সিজদা বিষয়ে প্রোপাগান্ডা করার পর ধরা খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর নতুন এক বিষয়ে প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে, আর তা হল আ'লা হযরত হুক্কা খাওয়া মুবাহ বলেছেন।

গোলাবী ওহাবীদের এটা ভালো করে জেনে রাখা উচিত যে, এটা আ'লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নিজের কিয়াস করা মাসয়ালা নয়, বরং এটা হল তৎকালীন জমহুর ওলামায়ে হানাফীগনের রায়। 

দেওবন্দী ওহাবীদের কয়েকটি ওয়েবসাইটে দেখা যায় তারা আ'লা হযরতের বক্তব্যকে কাটছাঁট করে নিজেদের মত করে সাজিয়ে লিখে দিয়েছে যেন আ'লা হযরতকে দোষারোপ করা যায়। তাদের এই অভিযোগ গুলো বিশ্লেষণ করলে হয়ঃ—
১) আ'লা হযরত হুক্কার পানি পাক বলেছেন।
২) আ'লা হযরত হুক্কাকে মুবাহ বলেছেন।

মিথ্যুকদের উপর লা'নত, যারা সত্য জানার পরও সত্যকে গোপন করে মিথ্যা প্রচার করে। দেওবন্দী কওমী খারেজী গং এবং গোলাবী ওহাবী গংদের মিথ্যাচারীতা দেখে নিজেরও লজ্জা লাগছে। কিভাবে তারা নফসের প্ররোচণায় প্ররোচিত হয়ে কাউকে মিথ্যা অপবাদে দোষী করতে পারে (!)
এবার আসুন দেখি আসল হাক্কিক্বত কি ?????

আপত্তি ১ঃ—
প্রশ্ন করা হয়েছিল- ওলামায়ে দ্বীনের অভিমত কি যে, হুক্কার পানি দিয়ে কখন ও কোন অবস্থায় ওযু করা যাবে??? বিস্তারিত বর্ণনা করুন....

উত্তরঃ— যখন সাধারন পানি পাওয়া না যায় তখন এ পানিও সাধারন পানি হিসেবে ধর্তব্য। এটা থাকা অবস্থায় তায়াম্মুম করা জায়েয হবে না। হুক্কার পানি থাকা অবস্থায় তায়াম্মু ম দ্বারা নামায পড়লে তা বাতিল। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
প্রিয় পাঠক, উত্তরটা ভালো করে পড়লেই ব্যাপারটা পানির মত পরিস্কার হয়ে যায়। এখানে শর্ত হল যখন সাধারন পানি পাওয়া যাবেনা তখন যদি সেখানে হুক্কার পানি থাকে তা দ্বারা ওযু করতে হবে, তায়াম্মুম করা যাবে না।

আপত্তি ২ঃ— আ'লা হযরত হুক্কাকে মুবাহ/মাকরূহে তানযীহী বলতেন।

জবাবঃ— শুধু আ'লা হযরত নন, হুক্কা মুবাহ বা মাকরূহে তানযীহী এটি হল ওলামায়ে আহলে সুন্নাতের ফয়সালা। যেমন- ফতোয়ায়ে শামীর (দুররুল মুখতার) মধ্যে আছে -
وهو الاباحة على المختاار
পছন্দনীয় অভিমত অনুসারে তা (হুক্কা) মুবাহ।
আল্লামা শামী তারপর বলেছেন -
فى هديه الحاقاله بالثوم وابصل باولى قدكرهه شيخنا العمادى
আমাদের দীক্ষা উস্তাদ আবদুর রহমান ইবন মুহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন দামেশকী স্বীয় কিতাবে হুক্কাকে রসুন এবং পিয়াজের সাথে সম্পৃক্ত করে মাকরূহ (তানযীহী) বলেছেন।
আল্লামা হামিদ আফিন্দী উম্মাদী ইবন আলী আফিন্দী স্বীয় “মুগনীল মুস্তাফতী আন সাওয়ালিল মুফতি” গ্রন্থে আল্লামা মুহিউদ্দীন ইবন আহমদ ইবন মুহিউদ্দীন হায়তকুর্দী জাযরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে নকল করেন -
فى الافتابحله دفع الحرج عن المسلمين فإن اكثر هم مبتلون بتناوله مع ان تحليله اسير من تحريمه وما خير رسول الله صلى الله عليه وسلم بين أمرين الاختيار اسيرهما و اماكونه بدعة فلا ضرر فإنه بدعة فى التناول لا فى الدين فاثبات حرمته امر عسير لا يكاد يو جدله نصير 

অর্থাৎ, হুক্কা হালাল হওয়ার উপর ফতোয়া দেয়া হয়েছে মুসলমানদের অসুবিধা দূর করার জন্য। বেশি ভাগ মুসলমান তা পান করতে থাকে। তদুপরি তা হারাম বলার চেয়ে হালাল বলা সহজতর। হুযুর সায়্যিদী আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দু কাজের মধ্যে স্বাধীনতা দেয়া হল তন্মধ্যে সহজতর বিষয়টি গ্রহণ করতেন তিনি। এধরনের বিদাত কোন ক্ষতির কারণ নয়। এ বিদাত খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় কাজে নয়। তা হারাম প্রমাণ করা দূরহ-যার কোন সাহায্যকারী দলীল পাওয়া যায় না।
ইমাম আ'লা হযরত (রহ.) লিখেছেন-

“মোদ্দাকথা -এটা স্পর্শকাতর বিষয়, যেনতেন ফতোয়া দিয়ে উম্মতে মুহাম্মদীকে গুনাহগার বানানো! তবে হুক্কাপানকে কেউ কেউ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ মাকরূহে তানযীহ বলেছেন। যথা আল্লামা আবু সাউদ,তাতত্বাভী ও শামী হুক্কাকে পিয়াজ-রসুনের সাথে সম্পৃক্ত করে এরূপ বলেছেন।

আল্লামা শামী বলেছেন-
الحاقه بماذكر هو الانصاف
পিয়াছ -রসুনের সাথে সম্পৃক্ত করে বিধান আরোপ করা যুক্তিযুক্ত। আমি বলব এরূপ হলে তো হুক্কাপানকে মাকরূহে তাহরীমি আবার তানযীহি বলা বিশ্লেষণমূলক নয়। (আহকামে শরীয়ত- ২৪৫ পৃ.)
অতঃপর তিঁনি আরো লিখেছেন—

“যারা হুক্কা হারাম বা মাকরূহ বলার প্রবক্তা তাদের উপর মস্তবড় কিয়ামত কায়েম করেছেন। আসলে উভয়টি শরয়ী বিধান-যার জন্য প্রমাণ প্রয়োজন। তা পান করলে নেশাগ্রস্থ হয় বা তথ্য ও তত্ত্বের ভিত্তিতে তা দোষনীয়, ক্ষতিকারক হওয়ার কোন দলিল নেই ; বরং তার উপকার প্রমাণিত। তাই প্রত্যেক বস্তু মূলতঃ হালাল, একসূত্রে আওতায় পড়ে। কাউকে কাউকে ক্ষতি সাধন করলে এতে সকলের উপর হারাম প্রমাণিত হয় না। যেমন মধু ডাইবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতি করে বরং কোন কোন সময় মারাত্মক অসুস্থ করে দেয়। অথচ তা রোগ নিরাময় বলে কুরআনের অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। যে কোন বস্তুকে হারাম অথবা মাকরূহ বলে আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া এটা কোন সতর্কতা নয়। তজন্য দলীলের প্রয়োজন। মুবাহ মেনে নেওয়ার মধ্যে রয়েছে সতর্কতা; ওটাই মুল। নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই শরীয়ত প্রবর্তক। স্বয়ং তিনি মদ্যপান যা পাপের মূল তা হারাম থেকে নিশ্চুপ ছিলেন যতক্ষণ পর্যন্ত অকাট্য দলীল নাযিল হয়নি।

সুতরাং মানুষের উচিত যখন তার থেকে হুক্কার ব্যপারে প্রশ্ন করা হবে তখন মুবাহ বলবে। নিজে পান করার অভ্যাস থাকুক বা থাকুক। যেমন আমি এবং আমার ঘরের কেউ হুক্কা এবং ধূমপায়ী নই; কিন্তু মুবাহ হওয়ার উপরই ফতুয়া দিয়েছি। হ্যাঁ ! যা তার কাছে অপছন্দ হয় তা হবে স্বভাবগত অপছন্দনীয় যা মাকরূহে ত্ববয়ী। শরীয়তের দৃষ্টিতে নিষেধ নয়। তা লিখেছেন নবী প্রেমিক আব্দুল কাদির আলকাদেরী আল বাদাউনী উ'ফিয়া আনহু।
আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত। ” (আহকামে শরীয়ত, ২৫৪ পৃ.)

এবার দেওবন্দীদের গুরু ঠাকুর কি বলে দেখুন (!) 

দেওবন্দী ফিরকার অন্যতম গুরু, তাদের ফক্বীহুন নফস খ্যাত মৌলভী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর নিকট হুক্কা এবং ধুমপান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি মাসয়ালা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি তার ফতোয়ায়ে রশীদিয়া'তে কি ফতোয়া দিয়েছেন দেখুন.... 

🚫 ফতোয়ায়ে রশিদীয়া পুরানো ছাপার পৃষ্ঠা নং:- ৩৭৫, ৪১৭,৪৮৮ দেওবন্দী থেকে আপডেট করা জাকারিয়া বুক ডিপো লাইব্রেরীর নতুন ছাপার পৃষ্ঠা নং:- ৪৩৮, ৪৬৮, ৫৪৯, ৫৫০-
ﺳﻮﺍﻝ : ﺧﺎﮐﺴﺮﻧﮯ ﺍﭘﻨﮯ ﺍﻳﮏ ﺑﻬﺎﮞُﻲ ﮐﻮ ﺍﭘﻨﮯ ﺳﺎﺗﻪ
ﺍﻋﺘﮑﺎﻑ ﻣﻴﮟ ﺑﻴﭩﻬﻨﮯ ﮐﮯ ﺗﺮﻏﻴﺐ ﺩﻱ ﻫﮯ ﻟﻴﮑﻦ ﻭەﻳە ﻓﺮﻣﺎﺗﮯ ﻫﻴﮟ ﮐە ﺣﻘە ﭘﻴﻨﮯ ﮐﻲ ﻋﺎﺩﺕ ﻫﮯ ﺍﻭﺭ ﺣﻘە ﻣﺴﺠﺪ ﻣﻴﮟ ﭘﻴﻨﺎ ﭼﺎﻫﮯُ ﻳﺎ ﻧﻬﻴﮟ -
ﺟﻮﺍﺏ : ﻣﻌﺘﮑﻒ ﮐﻮ ﺟﺎﮞُﺬ ﻫﮯ ﮐە ﺑﻌﺪ ﻧﻤﺎﺯ ﻣﻐﺮﺏ
ﻣﺴﺠﺪ ﺳﮯ ﺑﺎﻫﺮ ﺟﺎﮐﺮ ﺣﻘە ﭘﻲ ﮐﺮ ﺍﻭﺭ ﮐﻠﻲ ﮐﺮﮔﮯ ﺑﻮ ﺯﺍﮞُﻞ ﮐﺮ ﮔﮯ ﻣﺴﺠﺪ ﻣﻴﮟ ﭼﻼﺍﻭﮮ -
অর্থঃ 
প্রশ্নঃ আমি সাধারণ রশীদ আহম্মে দ গাঙ্গোহী আমার এক ভাই সাহেবকে এ'তেকাফে বসার জন্য বলিলাম, তখন তিনি বলিলেন, আমার হুক্কা পানের অভ্যাস আছে, মসজিদে কি হুক্কা পান করা যাবে?

উত্তরে রশীদ আহম্মে দ গাঙ্গোহী সাহেব বলিলেন,
জওয়াবঃ- এ'তেকাফ কারীর জন্য জায়েজ হইল মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের বাহিরে গিয়া ধুমপান করিবে। মসজিদের বাহিরে গিয়া ধুমপান করিয়া কুলি করিয়া গন্ধ দূর করিয়া মসজিদে চলিয়া আসিবে।ইহাতে কোন সমস্যা নাই।

২ নং প্রশ্নোত্তর
ﺳﻮﺍﻝ : ﺗﻤﺒﺎ ﮐﻮ ﺧﻮﺭﺩﻧﻲ ﺍﻭﺭ ﻧﻮ ﺷﻴﺪ ﻧﻲ ﮐﻲ ﺗﺠﺎﺭﺕ ﮐﻴﺴﻲ ﻫﮯ -
ﺟﻮﺍﺏ : ﺟﺎﮞُﺰ ﻫﮯ ﻣﮕﺮ ﺍﻭﻟﻲ ﻧﻬﻴﮟ ﻫﮯ -

অর্থঃ প্রশ্নঃ "তামাকের ব্যবসা এবং তামাকের ধূমপান করানোর ব্যবসা করা কিরূপ?
জওয়াবঃ তামাক খাওয়ানো এবং ধূমপান করানোর ব্যবসা করা জায়েজ, তবে না করাই ভালো।

৩ নং প্রশ্নোত্তর
ﺳﻮﺍﻝ : ﺣﻘە ﭘﻴﻨﺎ ﺗﻤﺒﺎﮐﻮ ﮐﻬﺎﻧﺎ ﻳﺎﺳﻮ ﻧﮕﻬﻨﺎ ﮐﻴﺴﺎ ﻫﮯ
ﺣﺮﺍﻡ ﻫﮯ ﻳﺎ ﻣﮑﺮﻭە ﺗﺤﺮﻳﻢ ﻳﺎ ﻣﮑﺮﻭە ﺗﻨﺰﻳە ﻫﮯ ﺍﻭﺭ ﺗﻤﺒﺎﮐﻮ ﻓﺮﺵ ﺍﻭﺭ ﻧﻴﭽﮯ ﺑﻨﺪ ﮐﮯ ﮔﻬﺮ ﮐﺎ ﮐﻬﺎﻧﺎ ﮐﻴﺴﺎ ﻫﮯ -
ﺟﻮﺍﺏ : ﺣﻘە ﭘﻴﻨﺎ ﺗﻤﺒﺎﮐﻮ ﮐﻬﺎﻧﺎ ﻣﮑﺮﻭە ﺗﻨﺰﻳە ﻫﮯ ﺍﮔﺮ
ﺑﻮ ﺍﻭﮮﻭﺭﻧە ﮐﭽە ﺣﺮﺝ ﻧﻬﻴﮟ ﺍﻭﺭ ﺣﻘە ﻳﺎ ﺗﻤﺒﺎﮐﻮ ﻓﺮﻭﺵ ﮐﺎ ﻣﺎﻝ ﺣﻼﻝ ﻫﮯ ﺿﻴﺎﻓﺖ ﺑﻬﻲ ﺍﺱ ﮐﮯ ﮔﻬﺮ ﮐﺎ ﮐﻬﺎﻧﺎ ﺩﺭﺳﺖ ﻫﮯ -

অর্থঃ
প্রশ্নঃ হুক্কাপান করা, পানের ভিতরে তামাক পাতা খাওয়া, অথবা নশুয়া সুঁখা কিরূপ? হারাম অথবা মাকরুহ তাহরীম নাকি মাকরুহ তানযীহ? তামাক বিক্রেতা ও ধুমপান করার উদ্দেশ্যে হুক্কার খোলা ইত্যাদি বিক্রেতার ঘরে দাওয়াত খাওয়া কিরূপ?

জওয়াবঃ হুক্কার ধূমপান করা, তামাক পানের ভিতরে খাওয়া তখন মাকরুহ তানযীহ যখন উহা হইতে গন্ধ আসিবে। আর মাকরুহ তানযীহও জায়েজেরই নামান্তর, কারন গায়তোল আওতার কিতাবে লিখা আছে-

ﻣﮑﺮﻭە ﺗﻨﺰﻳە ﺳﮯ ﺟﻮﺍﺯ ﻧﮑﺎ ﻟﺘﺎﻫﮯ -
অর্থাৎ, মাকরুহ তানযীহ বলতে জায়েজ বোঝায়। আর হুক্কা বা তামাক বিক্রেতার মাল হালাল, তাহার ঘরে দাওয়াত খাওয়া জায়েজ।

রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীর আরেক খানা কিতাব মাহমুদুস সুলুক বা ইমদাদুস সুলুক এর ২৬ নং পৃষ্ঠায় হাফেজ জামিন সাহেবের জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছেন যে, যার নির্দেশে রশিদ আহম্মেদ গাঙ্গুহী ‘ইমদাদুস সুলুক’ কিতাব রচনা করেছেন- তিনি হচ্ছেন হাফেজ শহীদ মোহাম্মদ জামিন সাহেব। 

এই কিতাবের ২৮ নং পৃষ্ঠায় রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী সাহেব লিখেছেনঃ

“হযরত হাফেজ জামিন সাহেবের খেদমতে কেউ আসলে হযরত তাকে বলতেন যে, ভাই কী উদ্দেশ্যে এসেছো? যদি মাসয়ালা-মাসায়েল জানার জন্য এসে থাক তো শায়েখ মোহাম্মদ সাহেবের দিকে ইশারা করে বলতেন ঐ দিকে যাও। আর যদি মুরিদ হওয়ার জন্য এসে থাক তাহলে হাজী ইমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কীর দিকে ইশারা করে বলতেন ঐ দিকে যাও। আর যদি হুক্কাপান করতে এসে থাক তাহলে আমার মত বন্ধু-বান্ধবদের নিকট বসে যাও।
(মাহমুদুস সুলুক- পৃ. ২৮)

প্রিয় পাঠক এখন আপনারাই বলুন, দেওবন্দী এবং গোলাবী গংরা আ'লা হযরত (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)- এর উপর মিথ্যা অভিযোগ তোলার আগে নিজেদের গুরু ঠাকুরের উপর আঙ্গুল তোলা উচিত কিনা?

বুঝা গেল এসব ওহাবী গংরা নিজেদের জন্য সাত খুন মাফ মনে করলেও অপরে খুন না করলেও তার উপর দোষ চাপাতে খুব পটু।

Mυhαmmα∂ Tαhmee∂ Rαყhααn