পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮

হাইবারনেশনঃ

কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে যখন পুর্ণিমার চাঁদটি ঠিক মধ্য গগণে, তখন অনেকেই শীতের উষ্ণতা উপভোগ করার জন্য কম্বল অথবা লেপের ভেতর মুড়ি দিয়ে উষ্ণতা অনুভবে ব্যস্ত। কেউ বা আদিম উষ্ণতা অনুভবে নিমগ্ন। 

কিন্তু সেই পরম উষ্ণতার স্নিগ্ধতা ভংগ করে যারা ছুটে এসেছিলেন বারাহিগুণী দরবার শরীফে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন করার জন্য, তারা অবশ্য পেয়েছেন এমন এক হৃদয়ের উষ্ণতা, যা পার্থিব এবং অপার্খিব আনন্দঘন এক পরম আবেশের সৃষ্টি করেছিল। এমন এক আবেশ, যা কখনো কদাচ পাওয়া যায়। 

ঠিক এমনই এক আবেশের পরশ পাওয়া গেল যখন পবিত্র গিলাফ শরীফ চড়ানো হয়েছিল বাদ মাগরিব...সেই সময়টাতে। যেন নববধুর সাজে সাজানো হচ্ছিল পবিত্র রওজা শরীফ। যেন কারো সাথে পবিত্র বন্ধন আবদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি সাজছেন এক নববধুর সাজে। মোহনীয় সেই সাজের স্বার্থকতা পাওয়া গেল যখন মাঝ রাতের কুয়াশাস্নাত রাতের চাঁদটি মধ্যগগণে স্থিত। কি মনোরোম এবং মায়াবি পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ যোগ্য নয়। বিষয়টি উপলদ্ধি করার জন্য হৃদয়ের বোধগম্যতাও যেন জরুরী হয়ে পড়ে....শিশির স্নাত সেই রাতটি যেন প্রকৃতি নিজেই তৈরী করেছিল রহমত রুপে..

দয়াল নবীর অশেষ রহমত এবং মুর্শিদের কৃপায় এক ফাল্গু ধারা সৃষ্টি করেছিল, যখন পরিবেশন করা হয়েছিলঃ "সবচে আলা হামারা নাবী।" কিংবা বড্ড জলি মেরি ইয়া মুহাম্ম দ.... কিংবা "ইয়া নবী রোজে আজলছে মাই তেরা দিওয়ানা হো...নানান শানে মানে ভরপুর সব কাওয়ালী। 

মধুময় সেই কাওয়ালদের পরিবেশনায় যখন উপস্থিত আশেকানে চিশতগণ নিমগ্ন..জজবার তালে নৃত্যরত, ঠিক তখনই পাওয়া গেল মুর্শিদের এক নির্দেশনা। পরিবেশন করা হলো আরো কিছু নাতে রছুল (সাঃ) এবং খাজায়ে খাজেগানের শান-মান সমৃদ্ধ কাওয়ালী। বাদ ফজর আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটে সেই পবিত্র রজনীর স্বার্থকতা।

আফসোস..যারা হাইবার নেশনে ব্যস্ত, তারা কিভাবে বুঝবে সেই মহামহিম রজনীর তাৎপর্য? তাদের অন্তঃকরণে কিভাবে ঝিলিক দেবে...রহমতের দরিয়ায় প্রবাহমান ফাল্গু ধারা.......