পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১৮

খায়রুল মাজালিশ-তৃতীয় পর্ব






















খায়রুল মাজালিশ।
-------------------
স্থানঃ হযরত খাজা আসরারুল হক চিশতী (রহঃ) এর নিজ বাসস্থান
----------------------------------------------------------------
বিষয়ঃ হযরত খাজা শাহ্ পীর চিশতী (রহঃ) এর মুরিদানের মাহাত্ম্য সর্ম্পকে আলোকপাত
------------------------------------------------------------------------------------
হযরত খাজা অাসরারুল হক চিশতী (রহঃ) একদিন আমাকে ডেকে বললেন, তুমি আমার সাথে দেখা করো। তোমার সাথে কথা আছে। আমি হুজুর কেবলা (রহঃ) আদেশ তামিল করার জন্য তাঁর বাস ভবনে দেখা করি। তিনি থাকেন মুহাম্ম দপুর থেকে কিঞ্চিত দুরে ঢাকা উদ্যানের নিকটবর্তী একটি বাসভবনে। আমি যথা সময়ে তাঁর সাথে দেখা করি। এরপর তাজিমপুর্বক তার নির্দেশক্রমে কিছু কার্য্যাবলী সম্পাদন করি। সে সময় তিনি আমাকে বললেনঃ

হযরত খাজা শাহ্ পীর চিশতী (রহঃ) এর একজন আদনা মুরিদানের যে কি মর্তবা তা অনেকেই জানে না। হযরত খাজা শাহ্ পীর চিশতী (রহঃ) নিজেই বলেছেন, আমার মুরিদানের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বিভিন্ন মাজারে যাতায়াত করে থাকে। অথচ তারা নিজেরাই জানে না, তারা সাথে করে কাকে নিয়ে যায়?

আমি হুজুর কেবলা (রহঃ) এর কাছে যথাযথ সম্মাানপুর্বক বিনীত মস্তকে আর্জি জানালামঃ এর মাহাত্ম্য কি, তা জানাতে?

উত্তরে তিনি বললেনঃ 
এর মর্তবা হলোঃ আমাদের চিশতীয়া খান্দানের সিলসিলাভুক্ত অনেক জগত বিখ্যাত অলী আউলিয়াগন আছেন যারা সরাসরি হযরত রসুলে পাক (সাঃ) এর বংশধর। আর আমার একজন আদনা মুরিদ সেই ছেলছেলার অর্ন্তভুক্ত। তারা যখনই মুরিদ হয়, তখন তারা এই ছেলছেলার সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়। যখন তারা কোন অলির মাজারে যায়,তখন তাঁদের সাথে নিয়েই যান। কাজেই কোন অলির মাজারে গেলে মুরিদানের কর্তব্য এই, তারা যেন অবশ্যই অনুমতি নিয়ে যান।

হুজুর কেবলা (রহঃ) এর পাক জবানে এই বিশেষ মর্তবার কথা শুনে হৃদয় বিগলিত হলো। আমি তাঁর কদমে লুটিয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে উঠতে আদেশ করলেন। আমি মস্তক উত্তোলন করলাম এবং তার নিকট এজাজত নিয়ে চলে অাসলাম।
-ওয়াল হামদু লিল্লাহ আলা জালিক