পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮

কাক এবং কোকিল সমাচারঃ

কোকিল কাকের বাসায় এসে ডিম পেড়ে বেশ ব্যথা পায়। তারপর সে এই ব্যথাটা নিয়ে মুখ গোমড়া করে সেখান থেকে চলে যায়। চলে যাওয়ার আগে সে একটা চিরকুট লিখে যায়ঃ

সুপ্রিয় কাক,

তুমি যেন কেমন? তোমার বাড়িটিও বেশ অদ্ভুত। কি কষ্ট করে তুমি থাকো? আচ্ছা, কেউ কি এত কষ্ট করে এমন বাড়িতে থাকে? কেমন ভাংগা চোরা, চারদিকে ময়লা আবর্জনায় ঠাসা..দুর্গন্ধে ভরপুর আর কোন আরাম নেই। সুখানুভুতিও নেই।

আর তোমার খাবারগুলো?...কি আর বলবো ভাই...বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
ছি! তুমি এত নোংরা...দেখলে গা কেমন যেন গুলিয়ে যায়...

এই তুমি আমাকে দ্যাখো, কতো সুখে আছি আমি...সারাদিন এখানে ওখানে কনসার্ট করে বেড়াই। থাকি উঁচু মহলে..পাখি সমাজে আমার বেশ একটা কদর আছে..একটা স্ট্যাটাস আছে। আর তোমার? আমাদের সমাজে তোমার মত পাখিদের কোন কদর নেই।

যাক্ ভাই অনেক কথা বলে ফেললাম। মনে কিছু করো না...আর হ্যাঁ শোন, তোমার ম্যাটার্নিটি ক্লিনিকে আমার ভবিষ্যৎ রেখে গেলাম। যত্ন নিও..

ইতি
সুকন্ঠি গায়িকা
কোকিল

কোকিলের চিরকুট পড়ে কাক হেসে ফেলে। মনে মনে বলেঃ
"যেখানে তোমার জন্ম, সেটাকে তুমি কেমন অবজ্ঞা করে নিজেকে নিজেই পরিহাসের পাত্র বানালে।"