মানবদেহে মহান আল্লাহ্ পাকের সীমাহীন কুদরত ও হিকমাত
বামপাশের দুধের ২ আঙ্গুল নিচে লতিফায়ে ক্বালব, যা আল্লাহ্ পাকের মাকাম। যার কারণে জিকরুল্লাহর দ্ধারা মানুষের ক্বালব পরিস্কার হয় ও সেখানে আল্লাহর জাত এবং সিফাতের নূর প্রবাহিত হয়। যাদের ক্বালবে বা অন্তরে ঐ নূর প্রবাহিত হয়, তাদেরকেই বলা হয় ক্বালবে ছালিম বা ওলীআল্লাহ্ ।
বিধায়, তারা কোন অবস্থাতেই ঈমানের পথে ফিরে আসবে না। তাদের মধ্যে বাহ্যিক সকল ইলম ও আ'মল থাকা সত্ত্বেও তাদের অন্তর ও আত্মা হবে ঈমানের নূরহীন ।
মানবদেহে মহান আল্লাহ্ পাক এত কুদরত ও হিকমাত প্রকাশ করার পরেও, হে আদম সন্তানেরা, তোমরা কিভাবে আল্লাহ ও রাছুলের নাফরমানী করছো ?
নারীর যেমন ২টি স্তন আছে, ঠিক পুরুষেরও ২টি স্তন আছে। নারীর স্তন ৩ টি কাজে
লাগে - নিজের যৌবন, স্বামীর সোহাগ ও সন্তানের খাদ্য। কিন্তু পুরুষের স্তন
কোন কাজেই লাগেনা। তাহলে আল্লাহ পাক তা দিলেন কেন? কারণ, জগতের সকল নারী
পুরুষের স্তনের বোটা কালো বৃত্তাকার। সেই কালো বৃত্তের রহস্য কি? রহস্য অতি
গভীর।
বাম পাশের কালো বৃত্তে আল্লাহ নামের ৪টি হরফ বসানো। ডান পাশের কালো
বৃত্ত মুহাম্মাদ নামের ৪টি হরফ বসানো। পুরুষের
বেলায় তা ১বার। কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে ৮ বার। উপরের কালো বৃত্তে ১বার আর
ভেতরে রসুনের পর্দার মত ৭টি পর্দা আছে। ৭ পর্দায় ৭ বার - মোট ৮ বার।
প্রত্যেক পর্দায় ৪ টি করে হরফ। ৪ গুন ৮ = ৩২ । তাইতো মায়ের বুকে ৩২ নালীর
দুধ তৈরী হয় ।
বামপাশের দুধের ২ আঙ্গুল নিচে লতিফায়ে ক্বালব, যা আল্লাহ্ পাকের মাকাম। যার কারণে জিকরুল্লাহর দ্ধারা মানুষের ক্বালব পরিস্কার হয় ও সেখানে আল্লাহর জাত এবং সিফাতের নূর প্রবাহিত হয়। যাদের ক্বালবে বা অন্তরে ঐ নূর প্রবাহিত হয়, তাদেরকেই বলা হয় ক্বালবে ছালিম বা ওলীআল্লাহ্ ।
ডানপাশের দুধের ২ আঙ্গুল নিচে অবস্থান করে লতিফায়ে রূহ । যা
পবিত্র ক্বোরআনুল কারীমের ভাষায় প্রিয় নবীজির মোক্বাম । নবীজির প্রতি
পূর্ণবিশ্বাস, আদব-তা'জিম ও অধিকতর দুরুদ পাঠের দ্ধারা নবীজির নূর ঐ
রূহে প্রবাহিত হয়। যারা ঐ নূরকে রূহের মাক্বামে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে
পারে, তারাই হলো পাক্কা ঈমানদার বা মুমিনে ক্বামিল। যাদের জন্যে
জাহান্নামের আগুন চির তরে হারাম হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ কুফর ও
নিফাক্বের জুলমাতে নিজের অন্তর ( ক্বালব) এবং আত্মা ( রূহ ) কে আধাঁরময় না
করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্বালব ও রূহের নূর দ্ধারা তার ঈমান আলোকিত ও
শক্তিশালী থাকবে। যখনি সে কুফর ও নিফাক্বের মাধ্যমে নিপতিত হবে, তখনি তার
অন্তর ও রূহ হতে ঈমানের নূর বিদায় নিতে। আর তখনি সে ৬ টি রিপুরোগে
আক্রান্ত হয়ে জাহিলিয়াতের দিকে ধাবিত হবে। ঐ শ্রেনীর মানুষগুলো প্রকাশ্য
মানবীয় ছুরতে থাকলেও তখন তারা নফসে আম্মারায় প্রভাবিত হয়ে রূহে
হায়ওয়ানী বা পশুর আত্মার অধিকারী হবে। যাদেরকে পবিত্র ক্বোরআনুল কারীমে
মহান আল্লাহ্ চতুস্পদ জন্তু জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট বলে ঘোষনা করেছেন।
যদিও তাদের মধ্যে বাহ্যিক ইলম, আ'মল ও লেবাস সুন্দর হয়, কিন্তু তাদের
ক্বালব ও রূহ থাকবে কুফর এবং নিফাক্বে ভরপুর।
বিধায়, তারা কোন অবস্থাতেই ঈমানের পথে ফিরে আসবে না। তাদের মধ্যে বাহ্যিক সকল ইলম ও আ'মল থাকা সত্ত্বেও তাদের অন্তর ও আত্মা হবে ঈমানের নূরহীন ।
মানবদেহে মহান আল্লাহ্ পাক এত কুদরত ও হিকমাত প্রকাশ করার পরেও, হে আদম সন্তানেরা, তোমরা কিভাবে আল্লাহ ও রাছুলের নাফরমানী করছো ?
[ পোষ্ট ফিলোসোফি অফ লাভ থেকে সৃংগৃহীত ]