পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭

বাউলদের সাধনা

ধর্ম দর্শনের নামে মিথ্যা বাউলিকরণ হয়েছে বাংলায়। বৈষ্ণব ধর্ম, সহজিয়া মতবাদ, সূফী মতবাদের মিলনে বাংলার বাউল ভাবধারা।

★ বাউলরা দেহের ভিতর দেহাতীতের সন্ধান করেন নরনারীর যুগল সাধনার মাধ্যমে। দেহের সাথে দেহের মিলন না হলে মাধুর্য ভজন হয় না। মাধুর্য ভজন না হলে মানুষ হয়ে জন্মানোর স্বার্থকতা কোথায়? এই হলো বাউলদের মৌল জিজ্ঞাসা। এই জিজ্ঞাসার উত্তর তারা খোঁজেন বিকৃতরুচি কাম সাধনায়। এই কারণে বাউলরা জোড়ায় জোড়ায় থাকেন। বাউল সাধনা একাকী পুরুষের বা একাকী নারীর সাধনা নয়। একে এক ধরনের পাশ্চাত্যের 'লিভিং টুগেদারের' সাথেও তুলনা করা চলে। লালনের ধর্মমতের 'চারিচন্দ্রভেদ', 'ষড়চক্র', 'দ্বিদলপদ্ম', 'মূলধারাচক্র', 'সহস্রদলপদ্ম', 'অধর মানুষ', 'ত্রিবেণী', 'সাধনসঙ্গিণী', 'প্রেমভজা' প্রভৃতি কাম আরাধনার ইঙ্গিতপূর্ণ শব্দের তাৎপর্য জানলে বা শুনলে যে কোনো মানুষের লালনের প্রতি শ্রদ্ধা কমে যাবে।

★ দেখুন বাউলগন কিভাবে পুরুষ-প্রকৃতি (নারী-পুরুষ) বিভক্ত হ'ল এবং কিভাবে দুই দেশে না থেকে একত্রে রইল। পদ্ম কোথায় প্রস্ফুটিত হয়, পদ্ম পুস্পের রসে কিভাবে সাধন হয় এবং সহস্রদল হতে রজঃস্রোতের সঙ্গে রসরাজ লীলা করতে করতে অগ্রসর হয়ে তিন দিন তিন রূপ ধারণ করে শেষে 'সহজ মানুষ' রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। অর্থাৎ একটি মেয়ের মাসিকের সময় বাউল সাধুগন সাধনার নামে ধর্ষন করে তিন দিন কারন তারা মনে করে মাসিকের সময় স্বয়ং প্রভু উপর থেকে নারীর যৌনিতে নেমে আসে আর এই আসার সময় নারীর দেহের অধর চাঁদ নামক নীর অর্থাৎ নারীর সাথে সেক্স করতে করতে রস বের হবার পরে একটি সাদা বস্তুু আসে তারা তাকে অধর চাঁদ নামে অভিভূত করে এর পর তারা সেটা পান করে। এবং তারা মনে করে আমরা স্বয়ং প্রভু কে পেয়ে গেলাম।

★ প্রমান দেখুন কি বলে?

★ বাউল-ফকিরেরা ঈশ্বরের সর্বোচ্চ রূপ মানবদেহের প্রাণের ধারার সাথে কিভাবে মিশে থাকে সে রহস্য উৎঘাটনে সচেষ্ট ছিলেন। বীজ-রজঃ মিলিত হয়ে মানবের জন্ম। আর এই দু'য়ের উৎপত্তি সঙ্গমকালে। উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে সহজ মানুষ উপস্থিত হয়। বাউলরা এই স্তরে পৌঁছে স্থির থেকে সাধন করতে চায়। কাম নদীর নিন্মমূখী ধারাকে ঊর্ধমূখী করে যারা সহজ মানুষ সাধন করতে পারে, তারা হলো সিদ্ধ পুরুষ। লালন তার গানে বলছেঃ-

আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে
মনের মানুষ যেখানে।
আঁধার ঘরে জ্বলছে বাতি
দিবা রাতি নাই সেখানে।
যেতে পথে কাম নদীতে
পারি দিতে ত্রিবিণে
কত ধনীর ধারা যাচ্ছে মারা
পইড়ে নদীর তোড় তুফানে।
রসিক যারা চতুর তারা
তারাই নদীর ধারা চিনে
উজান তরী যাচ্ছে বেয়ে
তারাই স্বরূপ সাধন জানে।
লালন বলে মইলাম জ্বলে
মইলাম আমি নিশি দিনে
আমি মনিহারা ফণির মতো
হারা হলাম পিতৃধনে।

★লালনের গানে বলা হয়েছে "গুরুরতি সাধন কর"। অর্থাৎ নারীর রতি বা মাসিকের সাধনা। যদিও অনেক বাউল বলে নিজ দেহের বীর্যের সাধনা মুলত নারীর।

মাসিকের প্রতি বাউলদের এই যে মনোভাব তা বুঝতে হলে আমাদের রাধাকৃষ্ণের কাহিনীর প্রতি দৃষ্টিপাত করেতে হবে। বলা আছে, একবার কৃষ্ণ রাধা ও অন্যান্য গোপীদের সাথে অবস্থানকালে রাধার মাসিক শুরু হয়। কৃষ্ণ তা টের পেয়ে রাধাকে যেন লজ্জার মুখে পড়তে না হয় এজন্য সে মুহুর্তেই গোপীদের নিয়ে রং বা দোল খেলা শুরু করে। আর এই রং খেলা পরবর্তীকালে সনাতনী হিন্দু দাদা ও দিদিগন হলি খেলা শুরু করেছে আর আমি নাম দিয়েছি মাসিকের লাল রক্তের এর পুজা অর্চনা করন।
দোলপূর্ণিমা বাউলদের প্রধান উৎসবগুলোর একটি। মূলত বাউলরা বৈষ্ণব। বৈষ্ণবদের সাথে বাউলদের প্রধান পার্থক্য বাউলরা ইসলামের ভেক বা ছদ্মবেশ ধরে থাকে। যেমন তারা লুঙ্গি এবং পাগড়ি পরে। কিন্তু খাঁটি বৈষ্ণবরা পরে না। বাউলদের খাদ্যাভাস মূলত হিন্দু বৈষ্ণবদের দেহতত্ত্ব হতে আগত। বাউলরা পান করে মূত্র ও মল তো বটেই সাথে মাসিকের রক্ত ​​ও বীর্য। এর মূলে রয়েছে রাধা ও কৃষ্ণের পরকীয়া প্রেমের কাহিনী। আর আমরা তো জানিই পরকীয়া প্রেমে দেহ ব্যতীত কিছুই নেই। আর তাদের পরকীয়া প্রমিকার নিকট হতে মাসিকের রক্ত ​​চাই।

★ আর সেই জন্য বাউলদের নিকটে কোন নারী বেড়াতে গেলে বা কোন বাউলের নিকটে ফোন নাম্বার থাকলে সেই নারীকে বলে মা তুমি দেবি, মা তুমি জননী তুমি সাক্ষাৎ দেবি দূর্গা তুমি মা লক্ষি তুমি জগত জননী মা তোমার পায়ে ভক্তি মা তোমাকে প্রনাম মা তোমাতেই আমাদের মানব মুক্তি মা গো। বাউলদের এই চতুরতায় নারীগন ধরা খেয়ে যায়য় এবং এই ভাবে তারা বিভিন্ন কাহিনি তৈরী করে কারন মুলত তাদের উদ্দেশ্য সেই নারীর মাসিকের রক্ত ​​পান করা আর সেক্স করা।

★বাউলগন, "ব্রাহ্মণ্য, শৈব ও বৌদ্ধ সহজিয়া মতের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে একটি মিশ্রমত যার নাম নাথপন্থ। দেহতাত্ত্বিক সাধনাই এদের লক্ষ্য। (নাথপ্নথ এবং সহজিয়া) এ দুটো সম্প্রদায়ের লোক একসময় ইসলাম ও বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হয়, কিন্তুু পুরনো বিশ্বাস-সংস্কার বর্জন করা সম্ভব হয়নি বলেই ইসলাম ও বৈষ্ণব ধর্মের আওতায় থেকেও এরা পুরনো প্রথায় ধর্ম সাধনা করে চলে, তার ফলেই হিন্দু-মুসলমানের মিলিত উল মতের উদ্ভব। তাই হিন্দু গুরুর মুসলিম সাগরেদ বা মুসলিম গুরুর হিন্দু সাগরেদ গ্রহণে কোন বাধা নেই

★ বাউলদের মধ্যে রজঃপান অর্থাৎ মেয়েদের মাসিকের রক্ত ​​পান করা একটি সাধারন ঘটনা। এছাড়া, তারা রোগমুক্তির জন্য স্বীয় মুত্র ও স্তনদুগ্ধ পান করে। সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য তারা মল, মুত্র, রজঃ ও বীর্য মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক একপ্রকার পদার্থ তৈরি করে তা ভক্ষণ করে। একজন বাউলের ​​একাধিক সেবাদাসী থাকে এদের অধিকাংশই কমবয়সী মেয়ে

★ সাধারণ বাউলরা নাড়ার ফকির নামে পরিচিত 'নাড়া' শব্দটির অর্থ হল শাখাহীন অর্থাৎ এদের কোন সন্তান হয়না। তারা নিজেদের হিন্দু মুসলমান কোনকিছু বলেই পরিচয় দেয়না। লালন শাহ ছিলেন বাউলদের গুরু। লালনকে বাউলরা দেবতা জ্ঞানে পূজা করে। তাই তার 'ওরসে' তাদের আগমন এবং ভক্তি অর্পণ বাউলদের ধর্মের অঙ্গ। (বা.বা পৃঃ 14) লালন শাহের অনুসারীদের একটি অংশ 1986 সালের মার্চ মাসে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে একজন মুসলমান অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, "আমরা বাউল। আমাদের ধর্ম আলাদা। আমরা না-মুসলমান, না-হিন্দু। আমাদের নবী সাঁইজি লালন শাহ । তাঁর গান আমাদের ধর্মীয় শ্লোক। সাঁইজির মাজার আমাদের তীর্থভূমি .. ... আমাদের গুরুই আমাদের রাসুল। ... ডক্টর সাহেব [অর্থাৎ উক্ত মুসলিম অধ্যাপক] আমাদের তীর্থ ভূমিতে ঢুকে আমাদের ধর্মীয় কাজে বাধা দেন। কোরান তেলাওয়াত করেন, ইসলামের কথা বলেন ... এই সবই আমাদের তীর্থভূমিতে আপত্তিকর। আমরা আলাদা একটি জাতি, আমাদের কালেমাও আলাদা -লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লালন রাসুলুল্লাহ। "(দ্রঃ সুধীর চক্রবর্তী, ব্রাত্য লোকায়ত লালন, ২ য় সংস্করণ, আগস্ট 1998 পৃঃ 4-95)

★ উপরের কথা গুলো কোন মুসলিম। যদি ভাল ভাবে বুঝে তাহলে কখনো বাউলবাদ তথা বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহন করবে না আর এই বাউলবাদ তথা বৈষ্ণববাদ মুসলিম ও সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলি দের ও ক্ষতি করে চলছে দিনের পর দিন । দেখুন মহান রাব্বুল আলামিন আল কোরআনে কি বলে,

★83 - তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে? । আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তাঁরই অনুগত হবে এবং তাঁর দিকেই ফিরে যাবে

★ সূরা আল ইমরান। 85 - যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত

★ সূরা আল ইমরান: 101 - আর তোমরা কেমন করে কাফের হতে পার, অথচ তোমাদের সামনে পাঠ করা হয় আল্লাহর আয়াত সমূহ এবং তোমাদের মধ্যে রয়েছেন আল্লাহর রসূল। আর যারা আল্লাহর কথা দৃঢ়ভাবে ধরবে, তারা হেদায়েত প্রাপ্ত হবে সরল পথের

★ সূরা আল ইমরান: 102 - হে ঈমানদারগণ। আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না

★ সূরা আল ইমরান। 104 - আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম

★ সূরা আল ইমরান: । 105 - আর তাদের মত হয়ো না, যারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং নিদর্শন সমূহ আসার পরও বিরোধিতা করতে শুরু করেছে-তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর আযাব।

★ এই আয়াত গুলো একটু গভীরতম ভাবে পড়ে তার পরে আপনারা বাউল তথা বৈষ্ণবধর্ম গ্রহন করিয়েন।

★বাউলবাদ সুফিবাদ এর মাঝে প্রবেশ করে কলঙ্কিত করে ফেলেছে দিনের পর দিন তাই আসুন বাউলবাদ না বলুন।

★ বিঃদ্রঃ বৈষ্ণব মতবাদে সবচে বাজে জঘন্যতম কাজটি হলো এদের মাঝে মা বোন মাসি কাকি বলে কিছু নেই। তারা মনে প্রানে বিশ্বাস করে আমাদের সকল আত্মায় একই। তাই আমাদের মাঝে ভেদাভেদ থাকতে পারে না। আর বৈষ্ণব মতাদর্শ হতে এই রস রতি অর্থাৎ সেক্স এর সাধনা ঢুকে পরেছে লালনবাদে। তাই তাদের মাঝে সেক্স এর সাধনা করে সমস্যাদি নেই।

[ বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ  দি ফিলোফোসি অফ লাভ ]