পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮

খাজা চিশতীর বাণীঃ হযরত খাজা ফরিদউদ্দিন গন্ঞ্জে শক্কর (রহঃ)

 খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী (রাঃ) এক স্থানে লিখিয়াছেন - "বন্ধুর রহস্যের উদাহরণ এক সৌন্দর্য্যময়ী নারীর ন্যায়। প্রেমিকের জ্বলন্ত অন্তর ব্যতীত যাহার আর কোথাও শান্তি পাওয়ার জায়গা নাই।"

হযরত ইয়াহ্ ইয়া মাআয রাযী (রাঃ)-কে লোকে জিগ্যাসা করিলঃ - "হযরত! আপনার পবিত্র মুখে আমরা কখনও হাসি দেখি নাই। ইহার কারণ কি?"

তিনি উত্তর করিলেনঃ -" দিবা রাত্রের এমন কোন একটি মুহুর্ত খালি যায় না যখন আমার অন্তঃকরণে আল্লাহর রহস্যের জ্যোতি অবতীর্ণ না হয়। যাহার অন্তঃকরণ বন্ধুর রহস্যের ভান্ডার তাহার আবার বাহ্যিক হাসির কি প্রয়োজন? শুধু ঐ একটি দিনই হাসিব যখন বন্ধুর পক্ষ হইতে তাহার নিকট যাওয়ার আমন্ত্রণ আসিবে।

আমীরুল মোমেনীন হযরত ওমর (রাঃ) - কে লোকে জিগ্যাসা করিলেন - "আপনি আল্লাহর সাথে বন্ধুত্ব করিয়া কি দেখিয়াছেন?"
তিনি উত্তর করিলেনঃ একদিন আমি উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় আমার হাতে প্রেমের আয়না দেওয়া হইলো। সেই আয়নায় আমি এমন একটি আকৃতি দেখিলাম - যাহা দেখার সাথে সাথে চঞ্চল হইয়া উঠিলাম। অতঃপর আমি তওবাহ এসতেগফার এবং কান্নাকাটি করিয়া বলিলামঃ - "আল্লাহ! তুমি আমাকে এই নিয়ামত দান কর।" এরশাদ হইলোঃ "তোমাকে দান করিলাম। কিন্তু ইহা কাহার নিকট প্রকাশ করিও না। তাহা হইলে অন্য প্রকার রহস্য অবগত হওয়ার উপযুক্ত থাকিবে।"

অতঃপর শায়খুল ইসলাম একটি কবিতা পাঠ করিলেন। উহার অর্থ এই -
"তোমার প্রেম আমাকে বন্দী ও বিষ্ময়াপন্ন করিয়া রাখিয়াছে,
বিজনবনে হয়রান পেরেশান করিয়া করিয়া রাখিয়াছে।
এই সমস্ত আপদ বিপদে জড়িত থাকা স্বত্ত্বেও - হে বন্ধু! দেখিয়া রাখ!
তোমার রহস্যাবলী কেমন ভাবে অন্তরের মণি কোঠায় গোপন করিয়া রাখিয়াছি।"

তথ্যাবলীঃ
--------
গ্রন্ধসুত্রঃ ইসরারুল আউলিয়া (আউলিয়া রহস্য)। পৃষ্ঠাঃ ১৫ দ্রষ্টব্য।
মুল গ্রন্থঃ হযরত খাজা শায়খ ফরীদ (রাঃ)।
অনুবাদঃ আবদুল জলীল।
ফেরদৌস পাবলিকেশনস, ৪১ নর্থব্রুকহল রোড, ঢাকা।