পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

প্রসংগঃ সা'মার মাহ্ ফিল

হাল আমলে কিছু তরীকতপন্থী আছেন, বিশেষ করে চিশতীয়া নিজামিয়া শাখায়, তারা বুঝেনই না, সা'মার মজলিশ (ধর্মীয় সংগীত) কি? কেন সামা তথা ধর্মীয় সংগীত-সুফী সাধকদের কাছে এতো আদরণীয়? এত প্রিয়? 

অত্যন্ত দুঃখ হয়, সেই সমস্ত তরীকতপন্থীদের জন্য, যারা খাজায়ে খাজেগানগণের এই বিশেষ মাহফিলের নামে যে অনুষ্ঠান সর্বস্ব পালন করেন, তা মোটেও তাঁদের পীরানে পীরগণদের সিলসিলা মোতাবেক নয়। তাঁদের পীরানেপীরদের মাহ্ ফিলে কোন প্রকার বে-আদবের স্খান ছিল না। তাছাড়া, যারা সা'মা সংগীত শ্রবণের উপযুক্ত নয়, তাদেরকে সেই মাহফিলে বসতে দেয়াও উচিত নয়। কিন্তু তাঁদের বর্ণিত সেই নিয়ম-নীতি অনুসরণতো  করেই না বরং আরো আধুনিকতার নামে যে নীতি তারা অনুসরণ করেন,সেটাও প্রযোজ্য নয়। তাদের উচিত, তাদের পীরানে পীরগণ যে নিয়ম নীতি অনুসরণ করেছেন, সে মোতাবেক সা'মার মজলিশ পরিচালনা করা। যদি সেটা অনুসরণ না করে সা'মার মজলিশ পরিচালনা করা হয়, তাহলে সেটা তাঁদের পীরানে পীরদের অবমাননা করা হয়। আর যে মুরিদ, তা করে, দয়াল মুর্শিদই ভালো জানেন, তিনি মুরিদ হবার উপযুক্ত কি-না?

কেন বললাম? 

বললাম এই কারণে যে, সা'মার মজলিশ হচ্ছে-রুহানী আত্মার খোরাক। অনেক আশেকগণ আছেন, যারা সা'মা শ্রবণ করে নিজেকে নিজের কাছে হারিয়ে ফেলেন। অর্থাৎ তিনি তার ভেতর থাকেন না। মুর্শিদের খেয়ালে বরযোগে তাদের হাল এত উচ্চ পর্যায়ে চলে যায় যে, যা বর্ণনাতীত। এটা যাঁদের হয়েছে, কেবল তারাই তা উপলদ্ধি করতে সক্ষম হন। সেই সময় অনেকেই নর্দন-কৃর্দন করেন। সেই নর্দন কুর্দন দেখে যারা এটা বুঝে না, তারা তাদেরকে অনেক অবমাননাকর উক্তি করে থাকেন। এমনও দেখা গেছে, তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সেইরুপ নর্দন-কুর্দন করে থাকেন। যা রীতিমতো বেয়াদবী। মাওলানা রুমি বলেন...

আস খুদা যুয়েম তৈফিকে আদব
বেয়াদব মাহরুম গাস্ত আজ লুতফে ফাজলে রব্ব

অর্থঃ আল্লাহর কাছে আদব করার তৌফিক প্রার্থনা কর কেননা বেয়াদব আল্লাহর নেয়ামত থেকে মাহরুম হয়ে যায়।