পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭

ধ্যানে দেহ জগৎ দর্শনঃ - পর্ব ১


--------------------------------
প্রথম পর্বঃ ধ্যানে দেহ জগৎ দর্শন
--------------------------------
সৃষ্টিকর্তা গুপ্ত ও অব্যক্ত ছিলেন । তখন উনার কোন প্রশংসা ছিল না, তার প্রশংসার প্রকাশ তখনও আরম্ভ হয় নাই। তিনি “নূর” অর্থাৎ “জ্যোতির্ময়
নূরে মোহাম্মাদী” রূপে যখন আত্মপ্রকাশ করলেন, তখন উহাই হইল তাহার সকল প্রশংসার আধার। সমগ্র সৃষ্টি “নূরে মোহাম্মাদী” হতে আগত হয়েছে এবং হইতেছে। সুতরাং সমস্ত প্রশংসার মুলাধার হইলেন “নূরে মোহাম্মাদী”। “নূরে মোহাম্মাদী” কোন একটি ব্যক্তি নয়। উহা অসংখ্য জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্বের মূলাধার। সে ব্যক্তিত্বের মৌলিক অর্থাৎ সাধারন নাম হইল “মোহাম্মাদ” অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রশংসিত।
এই সৃষ্টি জগতে এমন একজন মুলাধারের আগমন যিনি প্রদীপ্ত প্রদীপ, যিনি সর্ব সাধকদের শিরোমণি, যিনি আল্লাহ্‌জাহিরী রূপ “হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সাঃ)”, এই ধরণীর বুকে খুদায়ী ফরমান নিয়ে আগমন করেছেন। আমরা মানুষ উনারি অনুসরণ করবো সত্য দ্রষ্টা হয়ে - এটা কি সারা জাহানের কর্তব্য নয়??? উনি যে হেরা গুহার সন্ধান দিয়ে গেছেন, তাহা প্রতিটি মানুষের মধ্যেই বিরাজমান। আমরা সকলেই তাহা ভুলে গিয়াছি। হেরা গুহা কোন পর্বত গুহা নয়। গুহা প্রতিটি মানব দেহের মধ্যেই বিদ্যমান। হেরা গুহার আরেকটি নাম হলো জ্ঞান কেন্দ্র। অর্থাৎ হেরা গুহাকে জ্ঞান কেন্দ্র বলা হয়। যিনি গুহায় ধ্যানস্থ অবস্থায় প্রবেশ করিবেন বা নিমজ্জিত হইতে পারিবেন, তিনিই আল্লাহ্‌সৃষ্টির রহস্য, আল্লাহ্‌পরিচয় এবং নিজেকে চেনা, নিজেকে জানা, নিজেকে বুঝতে পারিবেন। এই ধ্যান “হুযুর’পাক (সাঃ)” সহ প্রতিটি নবী পয়গম্বর, অলী-আউলিয়া, মুনি ঋষি, সাধকজন প্রেরিত তথ্য প্রকাশের পূর্বে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় যে মহা জ্যোতির সন্ধান লাভ করিয়া ছিলেন, সেই মহা জ্যোতির প্রাপ্তি ব্যতীত মানব জীবন পরিপূর্ণ ভাবে সার্থকতা লাভ করিতে পারে না। এই হেরা গুহার প্রাপ্তব্য বিষয় হইল জ্যোতির্ময় কোরআন, পূরান, বেদ-গীতা, বাইবেল ইত্যাদি।

চলবে.....