পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭

ধ্যানে দেহ জগৎ দর্শনঃ - পর্ব ২

(পুর্ব প্রকাশের পর হতে)


আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানুষকে সৃষ্টি করে বলেন “মানুষ আমার রহস্য”। এই মানুষকে নিয়ে যত আমার লীলা। এই লীলাতেই আমি বাস করি। আমি সৃষ্টি করি মানুষকে বারাম খানায় বসে (Uterus অথবা মাতৃ গর্ভকে বারাম খানা বলা হয়) এই মাতৃগর্ভ অথবা বারামখানা পবিত্র স্থান।
আমাদের পিতা-মাতার আনন্দময়ী প্রেম-ভালবাসার যত্নের ফসল আমরা মানব, শুক্রকিট ডিম্বাণুর প্রক্রিয়ায় আমরা সৃষ্টি। যখন আমরা মাতৃগর্ভে রক্ত পিণ্ড হয়ে আসি, তখন আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে একটা নূরের ফুঁৎকার দেন এবং আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন জ্যোতির্ময় ফুঁৎকার দিয়ে বারাম খানায় বসে আমাদের লালন পালন করতে শুরু করেন। তখন আমরা মাংস পিণ্ড রূপ ধারন করি এবং পরিপূর্ণ একটা মানুষ অবয়বে সৃষ্টিতে আসি, অনেক আদর করে উনি আমাদের অবয়বকে উনার শিল্পমনা দিয়ে যত্ন করে আমদের অবয়বের হাতের যায়গায় হাত, চোখের যায়গায় চোখ, সমস্ত ইন্দ্রিয় গুলিকে উনি সুন্দর অবস্তায় অবস্থান করে দেন। আর দেহের ভিতর যকৃত, প্লীহা, হৃদপিণ্ড - এইভাবে সমস্ত দেহ যন্ত্র সাজিয়ে দেন। তখন আমি পরিপূর্ণভাবে একটি মানব আকৃতিতে গঠনপ্রাপ্ত হই। যখন উনি উনার নূরের ফুঁৎকারটা দেন তখন থেকে শুরু হয় আমাদের দেহের গঠন প্রণালী। এই ফুঁৎকার মাথার তালুর থেকে এসে ঘাড়ের পিছন থেকে একটি রগ নালীর ভিতর দিয়ে মলদ্বার এবং জলদ্বার এর মাঝখানে একটা গর্ত আছে, সেই গর্তে এসে জ্যোতির্ময় নূরটি অবস্থান নেয়। আর এই গর্তের নামই “কুণ্ডলিনী”


উনি আমাদের দেহের জীবাত্মা হয়ে আছেন। (ফ্যানের সুইচ যেমন অন করলে পাখা ঘোরা শুরু করে, তেমনি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যখন ঐ নূরের ফুঁৎকারটা মানব দেহে প্রবেশ করান তখন থেকেই আমাদের দেহের রক্ত-সঞ্চলন, কোষ সঞ্চলন, হৃদস্পন্দন শুরু হয়। এইভাবে আল্লাহ্‌ পালনকর্তা হয়ে লালন পালন শুরু করেন।


সৃষ্টিতে এসে মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে ততই কুণ্ডলিনীর গর্তের ঐ নূরের ফুঁৎকারটা পাথর আকার ধারন করতে থাকে। এই ফুঁৎকারটি পাথর আকার থেকে কোমল আকারে ধারন করাতে আমাদের কি করতে হবে???? ধ্যান ধ্যান ধ্যান............ 


চলবে.........