পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭

ধ্যানে দেহ জগৎ দর্শনঃ - পর্ব-৩

(পুর্ব প্রকাশের পর হতে)


মানব দেহতত্ত্ব বুঝতে হলে আগে বিশ্বতত্ত্ব বা জগৎতত্ত্ব জানা প্রয়োজন। যেভাবে জগৎ সৃষ্টি হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই মানুষের দেহ সৃষ্টি হয়েছে। সারা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে যে ভাবে আল্লাহ্‌ তালা যা যা সৃষ্টি করেছেন, মানব দেহের মধ্যেও অনুরূপ ভাবে সমস্ত কিছু দিয়ে দিয়েছেন। বিশ্ব জগতে আকাশ, বাতাস, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, চাঁদ, উল্কা পিণ্ড, তারা, আগুন, পানি, মাটি, বাতাস, পাহাড়-পর্বত সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে যা কিছু আছে - একটা মানব দেহও পরিপূর্ণভাবে একই রুপে সৃষ্টি হয়েছে। তাই বিশ্ব জগতকে বলা হয় বড় জগত ( বিগ কমস বা আলমে কবির ) আর মানবদেহকে বলা হয় ছোট জগত ( লিটিল কমস বা আলমে ছগিরা ) । শুধু মানুষ কেন জন্তু-জানোয়ার, কীটপতঙ্গ, জড়-অজড় সবাই এই একই পদ্ধতিতে সৃষ্ট। আল্লাহ্‌ তালা কোরআনে ঘোষণা দেন “আমি বিজ্ঞানময়”।

বিজ্ঞান জগত উৎপত্তির বিশেষ স্বরূপ কি? সে বিষয়ে মানুষ আজও ওয়াকিবহাল নয়। এই নিয়ে আজকাল দুটি অভিমত খুবই জোরদার- যেমন ‘বিগ ব্যাঙ তত্ত্ব’ ও ‘Steady State’ তত্ত্ব। 

বিগ ব্যাঙ (Big Bang) তত্ত্বের মূল কথাঃ দেশে (Space) কোথাও একত্রে ঘনীভূত হয়ে থাকা বস্তুকণা ছিল (Masses)। সম্ভবত সেই বস্তুকণাতে অতিরিক্ত সঙ্কোচনের ফলে কেন্দ্রে উত্তাপের সৃষ্টি হয় অর্থাৎ ঘনীভূত বস্তুকণার মধ্যে কম্প্রেশনের ফলে উত্তাপ সৃষ্টি হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণের ফলে কেন্দ্র থেকে বস্তুকণাগুলি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে গোলাকার ভাবে। এইভাবেই গোলাকার জগতের সৃষ্টি হয়েছে। একটা কেন্দ্রে সেই বিস্ফোরণের ফলে বিস্ফোরণ জনিত বেগের ফলে যে জগতের সৃষ্টি হয়েছে এর স্বপক্ষে প্রমান মেলে যদি জগতের গতি-প্রকৃতি লক্ষ করা যায়। কারণ বর্তমানে প্রমানিত হয়েছে যে, কোন এক বিশেষ কেন্দ্র থেকে বস্তু জগত ক্রমশ দুরে সরে যাচ্ছে। সেই সরে যাওয়া গতিও প্রচণ্ড।  প্রতি সেকেন্ডে হাজার হাজার মাইল। বস্তু জগত এই ক্রমশ ব্যপ্তির জন্য কেন্দ্র এবং পরস্পর থেকে যে ভাবে সরে যাচ্ছে তা একটি সুন্দর উদাহরন দিয়ে বোঝানর চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। যেমন একটা ব্লাডার।  ব্লাডারের গায়ে অনেক গুলি ফুটকি দিয়া তাকে ফুলালে যেমন ফুটকি গুলি কেন্দ্র ও পরস্পরের কাছ থেকে দুরে সরে যায়, জগতও তেমনি কেন্দ্র থেকে ক্রমশ দুরে সরে যাচ্ছে। ফুটকিগুলি যেমন পরস্পর পরস্পরের থেকে সরে যায়, তেমনি জগতের গ্রহ নক্ষত্রও সরে যাচ্ছে। চিত্রটি নিম্নরূপ......




  
চলবে.........