অাধুনিক যুগে অতি আধুনিক ফকির হচ্ছে ডিজিটাল ফকির। ভাবছেন ডিজিটাল ফকির
কি জিনিস? যারা আমার মতো ল্যাপটপ কাঁধে নিয়ে অফিসে অফিসে ওয়েবসাইটের কাজের
জন্য ঘুরে বেড়ায়, তারাই হচ্ছে আধুনিক কালের ডিজিটাল ফকির। কেন বললাম এই
কথাটা? তাহলে শুনুনঃ-
নতুন বাজার ভাটারা থানা থেকে দশ টাকা
রিক্সাভাড়া। আমিনউদ্দিন মার্কেটের সামনেই একটা নাম করা অফিসে কাজের সন্ধান
পাই। আমারই এক বন্ধু মাসুম ভাইয়ের
মাধ্যমে। মাসুম ভাই আমাকে ফোন দেয়। তো অামি সেই ফোন পেয়ে ঝোলাটা (ল্যাটপট)
কাঁধে নিয়ে দে ছুট। অফিসে ঢূকতেই মাথা ঘুরে গেল। এত্ত বড়ো অফিস..বাপরে
বাপ....না জানি কতো টাকার কাজ দেয়...আমিতো মনে মনে মহা খুশি....যাক্ শেষ
বেলায় একটা কাজ পেলে খারাপ কি? তাছাড়া পকেটও খালি। কি করি...হেনতেন ভাবতে
থাকি..আর মনে মনে ভাবতে থাকি...কাজটাতো সিম্পল। দু একদিনের মধ্যেই করে ফেলা
যাবে। কিন্ত্তু কতো নিবো..এই যখন ভাবছি তখন সে আমাকে একটা হোটেলে নিয়ে
যায়....গ্রিল মুরগী আর রুটি। সাথে কোকাকোলা...খাচ্ছি আর ভাবছি...লোকটাতো
ভালোই...বিনা মুল্যে এত ভালো খাবার পেলাম। পঁচিশ চেয়ে লাভ নেই। বিশের
মধ্যেই করে দিব। এটাই ঠিক করে রাখলাম। সেই খাবার টেবিলেই খাবার খেতে খেতে
তার ওয়েবসাইটের ব্যাপারে কথা হলো। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েই কাজটা করে দেব। তাকে
আামার অফারের কথাটা বললাম। সে সাথে সাথে লাফ দিয়ে ওঠে বললোঃ বি....শ হাজার
টা....কা। আরে ভাই কালকে আরেক জন অাসছিল..সেতো বলেছে....দশ হাজার
টাকা....তার কথা শুনে এবার আমার লাফ দেবার পালা...এটাতো বেশ জটিল কাজ ।
আমরা অনেকদিন ধরে এই কাজের সাথে জড়িত আছি বলেই কাজটা সহজ মনে
হচ্ছে....প্রথম প্রখম এরকম একটি সাইট তৈরী করতে কম করে হলেও দশ-বারো দিন
লেগে যাবে। সেই কাজটাই করতে চাইছে....মাত্র দশ হাজার টাকায়....ঠিক
আছে...বিশ না দিলেন পনেরো হাজার দিতেই হবে। আমি কোক খেতে খেতে বললাম।
ভদ্রলোক পকেট থেকে সাথে সাথে চেক বই বের করে সই করে সাইনঅাপ মানি হিসেবে পাঁচ হাজার টাকার চেক দিল। অামি তো মনে মনে মহা খুশি....একেবারে খুশিতে বাগ বাগ....ফাঁকা পকেটে চাকা লাগতে শুরু করেছে...
বাড়িতে ফোন করলাম..তুমি চিন্তা করো না..অামি কালকেই তোমাকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে পাঠিয়ে দেব। এখন কাজ করতে দাও....আমার গিন্নিতো খুশিতে আটখানা...কালকেই টাকা পাবে....আর আমি রাত জেগে জেগে কাজ করে সেই চেকটা নিয়ে পরদিন সকালে ব্যাংকে গেলাম।
ব্যাংকে দেখলাম এক সুন্দরী উর্ব্বশী কর্মকর্তা। তার কাছে চেকটা দিলাম। সে চেকটি নিয়ে কমপিউটারে টিপে টাপে মুখে অদ্ভুত হাসি নিয়ে বেশ কোমল গলায় বললোঃ ভাইয়্যা একাউন্টে টাকা নেই। ব্ল্যাপ দিয়েছে আপনাকে......চেকটা হাতে নিয়ে আমি ফোন করলাম সেই সুদর্শন অতিথিকে। যিনি আমাকে আপ্যায়ন করে দ্রুত ফেনী হতে ঢাকায় এনে কাজটা দিয়েছেন। দেখলাম, সে ফোন তুলছে না....মাথা ঘুরে গেল..খবর নিয়ে জানতে পারলাম...সে নেই....বাহিরে চলে গেছে......তার কাজটা অনলাইনে এখনো অাছে...কেবল নেই আমার পারিশ্রমিকের টাকা.....মনে মনে বুঝিলাম ইহারা অন্য জাতের মানুষ।...সেই অন্যজাতের লোকটার দেশের বাড়ীর নামটা নাই বা বললাম...পাঠকরা অনুমান করে নিয়েন। এই অন্য জাতের লোকদের কারণেই আমার স্বপ্ন বার বার ভংগ হয়.....হৃদয় হয় খন্ড বিখন্ড.....
ভদ্রলোক পকেট থেকে সাথে সাথে চেক বই বের করে সই করে সাইনঅাপ মানি হিসেবে পাঁচ হাজার টাকার চেক দিল। অামি তো মনে মনে মহা খুশি....একেবারে খুশিতে বাগ বাগ....ফাঁকা পকেটে চাকা লাগতে শুরু করেছে...
বাড়িতে ফোন করলাম..তুমি চিন্তা করো না..অামি কালকেই তোমাকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে পাঠিয়ে দেব। এখন কাজ করতে দাও....আমার গিন্নিতো খুশিতে আটখানা...কালকেই টাকা পাবে....আর আমি রাত জেগে জেগে কাজ করে সেই চেকটা নিয়ে পরদিন সকালে ব্যাংকে গেলাম।
ব্যাংকে দেখলাম এক সুন্দরী উর্ব্বশী কর্মকর্তা। তার কাছে চেকটা দিলাম। সে চেকটি নিয়ে কমপিউটারে টিপে টাপে মুখে অদ্ভুত হাসি নিয়ে বেশ কোমল গলায় বললোঃ ভাইয়্যা একাউন্টে টাকা নেই। ব্ল্যাপ দিয়েছে আপনাকে......চেকটা হাতে নিয়ে আমি ফোন করলাম সেই সুদর্শন অতিথিকে। যিনি আমাকে আপ্যায়ন করে দ্রুত ফেনী হতে ঢাকায় এনে কাজটা দিয়েছেন। দেখলাম, সে ফোন তুলছে না....মাথা ঘুরে গেল..খবর নিয়ে জানতে পারলাম...সে নেই....বাহিরে চলে গেছে......তার কাজটা অনলাইনে এখনো অাছে...কেবল নেই আমার পারিশ্রমিকের টাকা.....মনে মনে বুঝিলাম ইহারা অন্য জাতের মানুষ।...সেই অন্যজাতের লোকটার দেশের বাড়ীর নামটা নাই বা বললাম...পাঠকরা অনুমান করে নিয়েন। এই অন্য জাতের লোকদের কারণেই আমার স্বপ্ন বার বার ভংগ হয়.....হৃদয় হয় খন্ড বিখন্ড.....
Neither visible naked eye or
microscopic vision
but internal vision that my heart bleeds.......
গল্প নয়..সত্য....