পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

তোরা দেখে যা, আমিনা মায়ের কোলেঃ কিছু কথা

তোরা দেখে যা, আমিনা মায়ের কোলেঃ কিছু কথা
---------------------------------------------
তোরা দেখে যা, আমিনা মায়ের কোলে।
মধু পূর্ণিমারই সেথা চাঁদ দোলে।।
যেন ঊষার কোলে রাঙা রবি দোলে।।
কূল-মখ্‌লুকে আজি ধ্বনি ওঠে, কে এল ঐ,
কলেমা শাহাদাতের বানী ঠোঁটে, কে এল ঐ,
খোদার জ্যোতি পেশানিতে ফোটে, কে এল ঐ,
আকাশ গ্রহ তারা প’ড়ে লুটে,- কে এল ঐ,
পড়ে দরুদ ফেরেশ্‌তা,
বেহেশ্‌তে সব দুয়ার খোলে।।
মানুষে মানুষে অধিকার দিল যে জন,
“এক আল্লাহ্‌ ছাড়া প্রভু নাই’’ কহিল যে জন,
মানুষের লাগি’ চির-দীন বেশ নিল যে জন,
বাদশা ফকিরে এক শামিল করিল যে জন,
এল ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবি,
ব্যথিত মানবের ধ্যানের ছবি,
আজি মাতিল বিশ্ব-নিখিল মুক্তি-কলরোলে।।

আবিদারা নামক একজন সাহাবী রসুলে পাক হযরত মুহাম্ম দ (সাঃ) -কে জিগ্যাসা করলেনঃ
ইয়া রাসুলআল্লাহ (সাঃ) - সৃষ্টির প্রারম্ভিক অবস্থায় আল্লাহ পাক কিরুপ অবস্থায় ছিলেন?
উত্তরে রসুলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াস সাল্লাম বললেনঃ
সৃস্টির প্রারম্ভে আল্লাহ পাক আল-আমা নামক একটি কুপে (অন্ধকারাচ্ছন্ন কুছঝটিকা-কুয়াচ্ছান্ন অবস্খায়) ছিলেন।[সুত্রঃসুফীবাদ ও চার তরীকার পীর - অধ্যাপক এ. এম খলীলুর রহমান পৃষ্ঠা নং-৩৯] তাছাড়া হাদিসে কুদসিতে আছেঃ 'কুনতু কানজান মুখফিয়ান ফাআহবাবতু আনউরাফা ফা খালাকতুল খালাক' - এ হাদীছে কুদছি দ্বারাও আল্লাহর অবস্থান গঞ্জ-এ- মু্খফিতে আছেন/ ছিলেন বলে জানা যায়।
প্রশ্ন হলোঃ যদি আল্লাহ পাক কুচ্ছঝটিকারুপেই থাকেন এবং রসুলে খোদা যদি দেখেই থাকেন, তাহলে-সৃষ্টির পুর্বে তার অস্তিত্ব ছিল। যার প্রমানঃ কুনতু আদামা বাইনাল্লাহি মাইয়াততিন [আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম মাটি ও কাদার মধ্যে মিশ্রিত ছিলেন]।
দ্বিতীয় প্রশ্ন দাঁড়ায় - তিনি আল্লাহ পাককেও দেখেছেন [মান রানি ফাক্কাদ রায়ান হাক্কা]। যার প্রমাণ পবিত্র শবে মিরাজ শরীফ। কারণ সেখানে অন্য কারো যাবার অনুমতি ছিল না। কেবল রসুলে খোদা হাবীবে শান আহমাদ মুস্তফা মুহাম্মদ মুজতাবা হুজুর পাক সাঃ এবং মহান জাতপাক আল্লাহ পাকই ছিলেন। সাক্ষ্য কেবল তারা পরস্পর। আর তাদের সাক্ষ্যই চুড়ান্ত।
অবশ্য তা বিশ্বাসীদের জন্য। জ্ঞানীদের জন্য। অজ্ঞানী এবং অবিশ্বাসীদের জন্য নয়।
তৃতীয়তঃ রসুলে খোদা জানলেন কিভাবে যে আল্লাহ পাক সৃষ্টির প্রারম্ভে কুচঝটিকা রুপে ছিলেন? সেটা কিভাবে সম্ভব?
অনেকেই হয়তো আপত্তি তুলতে পারেন - নাওউযুবিল্লাহ ও বলতে পারেন। প্রশ্নও তুললে পারেন। কিন্তু গভীরভাবে চিন্তা করলে এর স্বরুপটা তথা সত্যটা বুঝতে পারা যায়।
যে সত্যটা বিবৃত করেছেন অনেক সুফী-সাধক এবং সুফী কবিগণও।
যেমনঃ হযরত খাজা শাহ্ পীর চিশতী(রহঃ) বলেছেনঃ

হ্যায় কাঁহা মুছাকে ইতনা তুমছে পেয়ারা মোর্তবা
তুমতো মাহ্ বুবে খোদা হো ম্যায় তেরা দিওয়ানা হো।।
দ্বার হারিমে পর্দায়ে ওয়াছেললে মোয়াল্লা ম্যায় থা কৌণ
সেজদা গাহে জানে জানা ম্যায় তেরা দিওয়ানা হো।।
-কালামে হযরত খাজা শাহ্ পীর চিশতী (রহঃ) এর চিশতী উদ্দ্যান থেকে সংগৃহীত।