পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

লা মউজুদা ইল্লাল্লাহঃ

লা মউজুদা ইল্লাল্লাহঃ আল্লাহ ব্যতীত কিছুই নাই
-------------------------------------------
সুফীরা বলেনঃ"লা মাউজুদা ইল্লাল্লাহ" অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কাহারো অস্তিত্ব নাই। ইহাতে বুঝা যায়ঃ আল্লাহ স্র্রষ্টা হিসাবে তো আছেনই, সৃষ্টিও আছে। কিন্ত্তু সৃষ্টি স্র্রষ্টার বিধা(manifestation)। এই হিসাবে সৃষ্টি এক অর্থে মুল্যহীন। কারণ, তাহার অস্তিত্ব স্র্রষ্টার উপর নির্ভরশীল। এইভাবকেই সুফীরা অন্যভাবে ফুটাইয়া তোলেন। যেমনঃ- "লা ফায়িলা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কার্যের কোনই কর্তা নাই। এস্থলে এই বুঝা যায়ঃ কর্তাও আছেন কর্মও আছে। তবে কর্তা মুখ্য, কর্ম গৌণ্য। ইহা আরো স্পষ্টতর হইয়া উঠে যখন সুফীরা বলেনঃ" লা মুয়াস্ সিরু ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন কিছুরই ফলোদয় হয় না। ইহা কতকটা বেদান্ত ভাষ্যের অনুরুপ। বেদান্তের কতক ভাষ্যকার এইরুপ ব্যাখ্যা দিয়াছেন যে, স্র্রষ্টা সৃষ্টি হইতে এইজন্য পৃথক যে, সৃষ্টি 'মায়া' দ্বারা আবৃত। 'মায়া' কাটিয়া গেলে সৃষ্টি-স্র্রষ্টার ভেদাভেদ থাকে না। তখন সৃষ্টি বলিয়া উঠে 'সোহং' (তিনিই আমি)। সুফীরা 'খুদিকে' বিলুপ্ত করিয়া স্র্রষ্টার অস্তিত্বে নিজেকে আবৃত করতঃ "আল্লাহ না হইয়া আল্লাহময় হন।


বন্ধু ও বন্ধুত্ব - সম-স্বত্ত্বাবিশিষ্ট প্রাণের উপলব্দি-তিনি কে?
--------------------------------------------------
বন্ধু ও বন্ধুত্ব হচ্ছে সমগুণ বিশিষ্ট প্রাণ। অর্থাৎ মনের সাথে মনের মিল। মনের মিল না হলে বন্ধুত্ত্ব হয় না। বন্ধু হওয়ার প্রধান শর্তই হলোঃ প্রাণের সাথে প্রাণের মনের সাথে মনের মিলনে সমাহিত হওয়া। অন্তঃদৃষ্টিতে বন্ধু হচ্ছেঃ প্রাণের যে স্পন্দনটি প্রতি নিয়ত আপনারই সাথে থাকছে সেটা। সেটা যখন বের হয়ে যায় কোন অজানা দেশের উদ্দেশ্যে, তখন শুন্য খাঁচা পুণ্যময় হয়। যে খাঁচাটি এতদিন লালন পালন করেছেন, সেই খাঁচাটিতে যে ছিল, সেই ছিল অাপনার একান্ত অাপনজন। কাজেই সেই বন্ধুটির দেখা পেতে হলে প্রয়োজন হচ্ছেঃ ধ্যান। ধ্যানের দেশেই কেবল আপনি আপন বন্ধুকে দেখতে পারবেন।
সুতরাং প্রয়োজন হচ্ছে ধ্যান....ধ্যান...এবং ধ্যান করা। এর কোন বিকল্প নেই। কেন নেই? কারণ হলোঃ যে বন্ধুটি আপনার সাথে ছিল তার একটা নাম অাছে। আছে তার বাসস্থান আর সেটি হলো রুহ্ ।

রুহ যখন এদেহে এসেছিল কোন অজানা দেশ থেকে, সেই দেশের হদিস কেবল এ বন্ধুটিই জানে। তার সাথে আপনার যে সত্ত্ব্বাটি রয়েছে, মন, সেই সত্ত্বাটির বন্ধুত্ব স্থাপন করুন। তাকে জানতে দিন, কথা বলতে দিন। শুনুন সে কি বলে......শুধু মাত্র বোবা হলেই তার ডাক শুনতে পাবেন আপনি। যদি সে তাঁর আপন ঠিকানা বলে, তাহলে তার সাথে পথ চলুন। তাহলেই কেবল স্র্রষ্টার সঠিক ঠিকানাটা পাবেন। কেননা, তিনি এসেছিলেন-স্র্রষ্টার হুকুমে। অালমে আমরের জগত হতে।
কিন্তু প্রশ্ন হলোঃ যিনি হুকুম দিয়েছেন, তিনি কে?


“আয় মোর্গে সেহের ইশক যে পরওয়ানা বিয়ামুজ
কাসুকতারা জান সুদ ও আওয়াজ নাইয়ামাদ”
--- হযরত শেখ সা'দী রাঃ
অর্থ : হে প্রভাতের বুলবুলি, পতঙ্গের কাছে ইশক কাকে বলে তা জেনে নাও, পতঙ্গ যেমন নিজকে আগুনে নিক্ষেপ করে পুড়ে ছাই হতে শিখে।



-----------------------------
সিরাতুল মুস্তাকীমঃ মত ও পথ
-----------------------------
মনা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো। তারপর বললোঃ
- কাম সারছে। সিরাতুল মোস্তাকীম কি জিলাপির মতোন?
- মানে? আমি জিগ্যেস করলাম।
- মানে সোজা। একদম পানির মতন।
- সেইটা কি রকম?
- দ্যাখ্ ছোট্র একটা দ্যাশ। এই দ্যাশের স্বাধীনতার ইতিহাস লইয়্যা কতো ঘাঁটাঘাঁটি হইছে। মারামারি হইছে। একদল হইছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আরেক দল হইছে বিপক্ষের শক্তি। সত্যিকারের ইতিহাস কিভাবে জানবি? পক্ষের লোকতো পক্ষপাতিত্ব করবোই। আর বিপক্ষ দল টিক্কা থাকনের ল্যাইগ্যাও ইতিহাস লেকবো। এহন তুই ক যারা পক্ষের বই পড়ছে তারা বিপক্ষ দলরে গালি দিব আর যে বিপক্ষ দলের বই পড়ছে, হেয় কি ছাইড়্যা কতা কইবো? কইবো না....মাঝখান থিক্ক্যা ফয়দা লুটতাছে তৃতীয়জন। অার ইসলামের ইতিহাসতো আরো নির্মম। আরো করুণ... এইবার আয় সিরাতুল মুস্তাকিমের কতায়।

এই সিরাতুল মুস্তাকিম অর্থ হইলোঃ সহজ সরল পথ। অর্থাৎ সঠিক পথ। এই সঠিক পথটাই সঠিক আছে। বাকী সব গোল্লায় গেছে। কেমতে? তাইলে শুন্
এই দেশে কয়টা টিভি চ্যানেল আছে?
- এই দশ পনোরোটা বা তারও বেশি আছে বা থাকতে পারে।
- অইচ্ছা, আমরা ধইর‌্যা লইলাম পনোরোটা আছে। এই পনোরোটা চ্যানেলে ইসলামের কোন আলোচনায় পনোরো জন মাওলানা পনোরো রকমের ওয়াজ নছিয়ত করবো। কোরআনের তফসির করবো। পনোরোটা চ্যানেল একটা বিষয়রে পনেরোটা ভাগ কইর‌্যা দিল। ধর তুই চ্যানেল আই দেখলি। আর আমি দেখলাম এটিএন বাংলা। এইবার তোর আর অামার মইদ্যে ফাইট অইবো। কিরলিগ্গ্যা? হেইডা জিগাবি না?
-কি জন্য?
-শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য। তুই কবি আমারটা ঠিক আর আমি কমু আমারটা ঠিক। একই কোরআন। সবাই মানি। মুসলমান হিসাবে। হেই কোরআনরে যহন তুই তফসির করতে যাবি, তহনই প্যাঁচ লাগবো.....তুই তর কতা কবি আর আমি কমু আমার কতা। আমাগো তো মাতা নাইক্ক্যা....মাতা থাকলে না ঠাটামু....যেই মাতা যত্রতত্র নত হয় ঐডা কোন মাতাই না.....আর যেই
মাতা সঠিক জায়গায় নত না হয়, ঐডাও মাতা না......মাতা অইলো হেইডা যেইডা জায়গা মত নত অয়। এই কতাডা আমার মুর্শিদের কতা। যা ব্যাডা এইবার চিন্তা কইর‌্যা দ্যাখ.....সিরাতুল মুস্তাকীম কি?


সমীকরণঃ
----------
মনে পড়ে কি সেই প্রথম দিনের কথাগুলো.....যেখানে তুমি আর আমি ছিলাম....অাজ তুমি আছো.... আর আমি নেই...........
শুনে ................কে যেন বললো উঠলো.........তাহলে কথা বলছে কে?
সে হলো তৃতীয় জন। আমি + তুমি = সে। অানা লতিফা মুনজিল। আলিফ লাম মিম...অালে মিম.....