পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ভাবনার ডানা-দ্বিতীয় পর্ব

(পূর্ব প্রকাশের পর)

আমার কথা শুনে তিনি বললেনঃ

-কোন মুসলমান ঘরের সন্তানদের নাম মুসলিম রীতি অনুযায়ী রাখা উচিত। প্রতিটি বস্ত্তুর একটি গুণ থাকে। সেই গুণাবলীর জন্যই তার নামকরন করা হয়। যেমন ধর মরিচ। এটা বললেই মনের মধ্যে একটা ঝাল ভাব ফুটে ওঠে। তাই না?
আমি মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম। আমার সম্মতিতে সে যেন একটা অবকাশ পেল। তারপর জানতে চাইলো

-তুই কি করিস, বাবা?

-অামি একটা প্রাথমিক স্কুলে মাষ্টারী করি।

-ভালো। তুইতো একটা স্কুলে মাষ্টারী করিস। ছেলে-মেয়েদের জ্ঞান দিস। আচ্ছা বলতো  ১ + ১ = ১...... এর মানেটা কি?

- ১ + ১ = ১..... এটাতো ভুল। এক যোগ এক সমান হবে দুই।

-আরে বোকা ভেবে বল।

-আমিতো ভেবেই বললাম। ছেলে-মেয়েদের অংক করাই। ওদের তো আর ভুল শেখাতে পারি না। 

-আমি তোকে যে অংকের কথা বললাম সেটা দুনিয়ার অংক না গাধা। এটা হলো আধ্যাত্মিকতার অংক। 

-এটা আবার কি? আধ্যাত্মিকতার অংক? আমি অনেকটা বিষ্ময় নিয়ে প্রশ্ন করলাম।

-এটা এমন একটা বিষয় - যা দেখা যায় না। ধরা যায় না । কিন্ত্তু অনুভব করা যায়। উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। সর্বত্রই তার সরব উপস্থিতি। এই মনের মাঝেই ভাবের আবেশেই সে ধরা দেয় ভাবুকের কাছে। যারা তার ভাবুক তাদেরকেই সে ভাবায়। তাদেরকেই সে চিন্তার রাজ্যে বিচরণ করায়। সেই চিন্তা রাজ্যে তারা সারাক্ষণ ডুবে থাকে।

-আপনার কথার মাথা-মুন্ডু আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।  কি সব বলছেন? ভাব ভাবুক চিন্তা রাজ্য....আর এসব ভেবে আমার লাভ কি?

আমার কথা শুনে মনা পাগলা ক্ষাণিকক্ষণ নিবিষ্ট চিত্তে হাসলেন। স্মিত্য হাস্য যাকে বলা যায়...তারপর বললেনঃ

-কেন বললাম তাতো জনিঁ না। তবে মনে হলো তোকে জানানো দরকার। তাই জানালাম। একটু ভেবে দ্যাখ। চিন্তা কর। পেয়ে যাবি। আর না পারলেতো আমি মনা পাগলা আছিই। তোকে জানাবো। যা... এই বলে সে হন হন করে হাঁটতে লাগলো। আর বির বির করে গাইতে লাগলোঃ

যেহন দিল পীতা ইশক. দা জাম
সা দিল মাস্ত ও মাস্ত মোদাম
হক্ব মওজুদ সদা মওজুদ।
সূলি তে মানসুর চড়হা কর
আনা আল হক. কালাম
হক্ব মওজুদ সদা মওজুদ।

(চলবে)