পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ধ্যানে দেহ জগত দর্শন--পর্ব ২৯

(পুর্ব প্রকাশের পর হতে) 

কবি তাই ঘটনা লক্ষ্য করে লিখেছেন "শূন্যে শুন্য মিলাইলো ।" 

মানুষের এই দেহটাও একটা পেঁয়াজের খোলসের মতো। মানবদেহের বাসনা-কামনার তীব্রতার হের ফের হেতু খোলগুলো পুরু এবং সূক্ষ্ম। যত অভ্যন্তরে যাওয়া যায়, ততো বাসনার স্তর সূক্ষ্ম। যত বহির্দেশাভিমুখী, ততই তা স্থূল। পেঁয়াজের একেকটা স্তর খুললে স্তরে স্তরে রঙ পাল্টায়। মানুষ যত তার ধ্যান জগতের ভেতরে ঢুকতে পারে ততই তার স্থূল আবরণ সরে গিয়ে সূক্ষ্ম আবরণ দেখা দেয়। পেঁয়াজের একেক আবরণের যেমন বর্ণভেদ আছে। তেমনই মানুষ যতই তার ভেতরে প্রবেশ করে ততই নিজের ভেতরে বর্ণের তারতম্য দেখতে পায়। 

এমনটি হওয়ার কারণ মানুষের দৈহিক গঠন ব্রহ্মরন্ধ্র থেকে মূলাধার পর্যন্ত এমনভাবে স্তরে স্তরে সাজানো যার সঙ্গে BLACK HOLE থেকে নির্গত শক্তির ধাপে ধাপে প্রান্তমুখী হয়ে বিশ্ব সৃষ্টি করার মিল রয়েছে। বিশ্ব সৃষ্টির আদিতে উত্তাপ ছিল তীব্রতম। সেখানে সেজন্য যেমন রয়েছে তীব্র জ্যোতি তেমন ঘন নীল রঙ। যতই নীচে নেমেছে ততই রঙের তীব্রতা কমে গেছে। তাই বলা হয়েছে "The Hotter a Star bluer it is and the more luminous it is. In a Blue Galaxy, light comes essentially from hot star---whereas in a Red Galaxy,light from cold stars. 

তাছাড়া Galaxy গুলি মানুষের দেহেরই মতো অসংখ্য cell দ্বারা গঠিত। Just as a human being a collection of hundred trillion cells--- is typically in a steady state between synthesis and decay and more than the sum of it's parts, so also in a Galaxy. সেইজন্য মানুষ নিজের ভেতরেই নানা রঙের খেলা দেখে আশ্চর্য্য হয় ধ্যান জগতে। এই রহস্যময় অন্তর্জগত দেখতে পেয়েই অনেক ধ্যানীযোগীগণ বলে উঠেছেন, "মানুষের দেহ একটা 'রঙের বাক্স' "। সেই রঙ বেরঙের বিচিত্র জগতে যে মানুষ প্রবেশ করে অনেক রহস্যময় জিনিস দেখে, সে অবাক হয়ে যায়। তার রহস্যময় অনুভূতিকে তখন সে নানা প্রতীকময় ভাষাতে প্রকাশ করে। কারণ পরিচিত বাচনভঙ্গি দিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার সে যথার্থ ব্যাখা করতে পারে না। তাছাড়া অদ্ভুত প্রতীকের মাধ্যমেও দিব্য জগত তাঁকে বিভিন্ন ধরণের ইঙ্গিত দেয়। সেই প্রতীকের অর্থ সূক্ষ্মভাবে ধরা গেলে নির্ভুল সিদ্ধান্ত করা যায়। ভুল হলে উল্টো ফল হয়। 

(চলবে)