পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫

গুরু



প্রশ্ন- মাতা গুরু, পিতা গুরু দীক্ষা গুরু- এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বড় কে?
উত্তর- কলিযুগপাবনাবতারী শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু নিদের্শ দিয়েছেন- যেই কৃষ্ণতত্তবেত্তা সেই গুরু হয়। (চৈতন্যচিরতামৃত মধ্য-/১২৭)
কৃষ্ণতত্ত্ববিদ্ ছাড়া যে কেউ গুরু হতে পারেন না। শ্রীগুরুদেবই জড়-সংসারবদ্ধ জীবকে দিব্যজ্ঞান দান করে ভগবদ্ধামে সন্ধান দেন।
চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে প্রভু সেই।
দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত। (প্রেমভক্তিচন্দ্রিকা)
প্রতি জন্মে মাতা পিতা সহজেই লাভ হয়। কিন্তু সব জন্মে পারমাথির্ক গুরুকে পাওয়া যায় না।
সকল জন্মে পিতামাতা সবে পায়।
কৃষ্ণ গুরু নাহি মিলে, ভজহ হিয়ায়্। (চৈতন্যমঙ্গল)
বদ্ধজীব নানা যোনি ভ্রমণ করতে করেত নানা প্রকার পশুপাখি, জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ, মানুষ ইত্যাদি দেহ লাভ করে এবং নানা কর্মফল ভোগ করতে করতে ব্রহ্মান্ড ভ্রমণ করে। তখন তার কত মাতাপিতার সাক্ষাৎ হয়্। কিন্তু অত্যন্ত ভাগ্যবানক না হলে পারমার্থিক দীক্ষাগুরুর সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব নয়।
ব্রহ্মান্ড ভ্রমিতে কোন ভাগ্যবান জীব।
গুরু-কৃষ্ণ-প্রসাদে পায় ভক্তিলতা বীজ।। (চৈঃ চঃ১৯/১৫১)
যে কেউই গুরু হতে পারেন না। গুরুদেব হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবানের প্রতিনিধি। তিনি পরমেশ্বর ভগবান থেকে পরম্পরা সূত্রে আগত প্রতিনিধি।পরম্পরার নির্দেশ অনুসারে তিনি গুরুরূপে জগজ্জীবকে উদ্ধারকরবার জন্য আসেন। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু তাই নির্দেশ দিয়েছেন।
আমার আজ্ঞায় গুরু হঞা তার এই দেশ।
জন্ম-মৃত্যু-জরা ব্যাধিময় সংসারচক্রে আবদ্ধ জীবের তাঁরাই প্রকৃত পিতামাতা যাঁরা সন্তানকে এই জড়বদ্ধ জীবনধারা থেকে মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে শ্রীকৃষ্ণতত্ত্ববিদ্ গুরুর সমীপে প্রেরণ করেন। সেই সে পরম বন্ধু সেই পিতামাতা।
শ্রীকৃষ্ণচরণে যেই প্রেমভক্তিদাতা। (চৈতন্যমঙ্গল)
শ্রীগুরুদেব দীক্ষাদান করে শিষ্যকে কলুষমুক্ত করে পরমেশ্বর ভগবানের সেবায় নিয়োগ করেন। যারা পারমার্থিক দীক্ষাগুরুকে সাধারণ মানুষ বলে মনেক করে,তাদের বৈষ্ণব অপরাধ হেতু নরকে গতি হয়।
গুরুষু নরমতির্যস্য বা নারকী সঃ।
'
যে গুরুকে মনুষ্যবুদ্ধি করে, সে নারকী।'' (পদ্মপুরাণ) শ্রীগুরুদেব হচ্ছেন পারমার্থিক ইপিতা। সবার পূজনীয়। জড়জাগতিক সমস্ত মাতাপিতার কর্তব্য হল পারমার্থিক পিতাকে সম্যকভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা অতএব দীক্ষা গুরুই সর্বশ্রেষ্ঠ, সব চেয়ে বড়