পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

ধ্যানে দেহ জগত দর্শনঃ -পর্ব ৫

(পুর্ব প্রকাশের পর হতে) 

শূন্য শক্তি – শব্দ সৃষ্টি – মানব কৃষ্টি 
 _______________________ 

এই ‘STEADY STATE THEORY’কেই স্বীকার করে নিতে হবে। কারন এর পক্ষে এসে দাঁড়ায় ‘বিন্দু তত্ত্ব’। যে সাধক ‘বিন্দু’র ধ্যান করেন তিনি ‘বিন্দু’র অন্তঃস্থিত শূন্যতায় চেতনাকে নিস্তরঙ্গ না করা পর্যন্ত অনবরত চোখের সামনে এই বিন্দু অথবা জ্যোতি দেখতে পান এবং আমাদেরও এই বিন্দুর ধ্যান করতে হবে। এই ‘বিন্দু’ আর কিছুই নয় শূন্যস্থিত সুপ্তশক্তির স্বভাবে বিস্ফোরিত হওয়া জনিত তেজদীপ্তি, যা নূরের বা জ্যোতির্ময় ফুঁৎকার দিয়ে আল্লাহ্‌ মানবদেহে সুন্দরভাবে ধারন করেছেন। যা কুণ্ডলিনীতে পাথর আকারে ধারন করে আছে এবং ধ্যানের মাধ্যমে এই বিন্দুকে (জ্যোতির্ময় বাতাস) বিস্ফোরিত করে গলিত পারদ আকারে শূন্যতায় পৌঁছাইয়া দিতে হবে। কারন আমরা জানি যে, বিস্ফোরণ হলেই আলো ফুটে ওঠে। এই বিন্দু সেই বিস্ফোরণজনিত জ্যোতির্ময় আলো অথবা নূর। 

ধ্যানে একে এত ছোট দেখা যায় এই কারণে যে, বিন্দু থেকে বহু দুরে সাধক অবস্থান করেন। কিন্তু মুলত এই বিন্দু অনেক বড়। ছোট দেখা যায় এই কারণে যে, আমরা এর কেন্দ্র থেকে অনেক দুরে থাকি। যেমন সূর্য অনেক বড় হলেও তাকে ছোট দেখি। কারণ তার থেকে আমরা অনেক দুরে বাস করি (EIGHT LIGHT MINUTES DISTANCE) কিন্তু কেউ যদি সূর্যের বৃত্তের মধ্যে প্রবেশ করেন, তাহলে আর সূর্য দেখবেন না। দেখবেন শুধু আলো বা জ্যোতি। সাধকও যদি তার চেতনাকে বিন্দু পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন, তাহলে বিন্দু দেখেন না। দেখেন শুধু জ্যোতি, জ্যোতি আর জ্যোতি এবং আরও এগোলে বিন্দুস্থিত শুন্যতার মধ্যে সমস্ত চেতনা হারিয়ে ফেলেন। 

ঘটনাটি কিভাবে ঘটে? এজন্য দেহতত্ত্ব আলোচনা প্রসঙ্গে তা বুঝানোর চেষ্টা করছি মাত্র। যিনি সাধক ধ্যানে বসেন তিনি চোখ বন্ধ করে মনটা শুধু কপালের দিকে মনোনিবেশ করে দুনিয়ার সব চিন্তাকে মুছে ফেলে একমনা হয়ে এক বিন্দুর দিকে খেয়াল করে দেহের সমস্ত চেতনা দিয়ে জ্যোতির্ময় ঐ বিন্দুকে মনস্থির করবেন। এটা একদিনে সম্ভব নয়। ধীর স্থিরভাবে ‘পদ্ম আসন’ অথবা ‘যোগ আসন’ অবস্থায় বসবেন। ধ্যানরত অবস্থায় নিজের ছবি, মায়ের ছবি অথবা পৃথিবীতে সবচেয়ে যে মানুষটিকে ভালোবাসেন তার ছবি মনের চোখে কপালে নিয়ে এসে ধ্যানে মগ্ন হতে হবে অথবা বিন্দুকে স্থিত রাখতে হবে। কারণ এই বিন্দুই আপনাকে সিন্ধুতে নিয়ে যাবে। বর্তমানে সাধক ও বিন্দুর অবস্থান কি ধরনের – ডায়াগ্রাম এঁকে তা দেখান হলঃ 



চলবে............