পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭

ধ্যানে দেহ জগত দর্শনঃ - পর্ব - ৮



(পুর্ব প্রকাশের পর হতে) 

পৃথিবী গ্রহ ক্ষুদ্র মেশিন প্রভু তার গোসা নশিন।
--------------------------------------------

এই অনুকে বিস্ফোরিত করলে জগত সৃষ্টির নিয়ম অনুসারেই ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। অর্থাৎ একটি অনুর মধ্যে ক্ষুদ্র বিশ্ব ফুটে ওঠে যাকে ইংরাজীতে বলা যায় ‘MINIATURE UNIVERSE’। একটি অনুর ভিতর যেমন জগত সৃষ্টিক্রিয়া এইভাবে ক্রিয়াশীল তেমনই প্রতিটি জীব ও মানুষের ভিতর এই ধরণের সৃষ্টি রহস্য কর্মরত। মানুষের দেহতত্ত্বের সেই খবর জানা গেলেই মানুষের সুক্ষ্ম দর্শন,অনুভুতি ও শ্রুতির প্রমান পাওয়া যাবে।


মানুষের দেহে ব্রহ্মরন্ধ্র থেকে মুলাধার পর্যন্ত স্তরে স্তরে বিশ্ব জগতের সুক্ষ্মতম ও সুক্ষ্মতর থেকে স্থুল পর্যায়ের উপাদান রয়েছে। ব্রহ্মাণ্ডের ছায়াপথগুলি যেমন ভাসমান অজুত কোটি নক্ষত্র দিয়ে তৈরি তেমনই মানুষের দেহও কোটি কোটি কোষ দিয়ে নির্মিত। যেমন জগতে যা বিদ্যমান তেমনই মানুষের দেহেও সমন্বয়,বৃদ্ধি ও ক্ষয় সবই আছে। দেহতত্ত্বে ব্রহ্মরন্ধ্রকে ধরা হয়েছে শুন্যতা স্বরূপ। তার পরের স্তরে রয়েছে বিস্ফোরণের আবেগজনিত অবস্থা। তারপর বিস্ফোরণজনিত জ্যোতি আলো এবং একেই বলা হয় সৎ+ চিৎ+আনন্দ বা বিন্দু। সৎ হল শুন্যতা। চিৎ হল বিস্ফোরণের আবেগজনিত বোধ এবং আনন্দ হল বিন্দু। এই বিন্দু বা বিস্ফোরণের জ্যোতির্ময় আলো থেকে স্তরে স্তরে বিস্ফোরণজনিত কম্পন বা VIBRATION নিচে নেমে এসেছে। বিশ্বসৃষ্টির মতই এই তরঙ্গ একান্নটি। মুলত তাকে সাতটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে - দেহের অভ্যন্তরে মেরুদণ্ডস্থিত ছটি চক্র ও ব্রহ্মরন্ধ্রের নিকটস্থ সপ্ততল। সর্বোপরি রয়েছে চিত্ত ও সৎ। এক একটি চক্র ও সপ্ততলে রয়েছে সাতটি করে আরও সুক্ষ্মতর পর্যায় অর্থাৎ সর্বসাকুল্যে ৪৯টি পর্যায়। সর্বোপরি দুই পর্যায় দিয়ে ৪৯+২=৫১ পর্যায়। ব্রহ্মরন্ধ্র থেকে মুলাধার পর্যন্ত সৃষ্টিক্রিয়া একটি দেহকে কেন্দ্র করে যেভাবে নেমে আসছে তা নিম্নরূপঃ




চলবে...............