পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

ধ্যানে দেহ জগত দর্শনঃ – পর্ব-৭

(পুর্ব প্রকাশের পর হতে) 

সুক্ষ্ম পর্যায়ে ঘনীভুত বস্তু নেই। আছে বর্ণরূপে তার অবস্থান। এক এক ধরনের বর্ণ হলঃ এক এক ধরনের ‘FREQUENCY’ দ্বারা তৈরি। ভারতীয় ‘তন্ত্র তত্ত্ব’ এজন্য সমগ্র বিশ্বজগতকে বর্ণ দ্বারা সৃষ্ট বলে মনে করেছে। এই বর্ণ ‘তন্ত্র তত্ত্ব’ মতে একান্নটি (৫১) । এক একটি বর্ণের একেকটি ‘FREQUENCY সঙ্গে একেকটি ধ্বনি সুক্ষ্মতর অবস্থা থেকে স্থুল পর্যায় পর্যন্ত। বর্ণের FREQUENCY কে প্রতীকী রেখায় ধরার জন্য সাধক জনেরা এই অক্ষর তৈরি করেছেন। 

‘তন্ত্র তত্ত্ব’ মনে করে যে, জগত মূল কেন্দ্র থেকে কোয়ান্টাম পদ্ধতি অনুসরণ করে একান্নটি বৃত্তে স্থুলতা লাভ করেছে। একেকটি বৃত্তের একেক ধরনের FREQUENCY অনুসারে একেকটি প্রতীকী অক্ষর তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সুক্ষ্মতম বোধে অনুভুত উর্ধ্ব আদি অক্ষর বাদে পঞ্চাশটি অক্ষর নিয়ে সংস্কৃত বর্ণমালা তৈরি হয়েছে। এই কোয়ান্টাম পদ্ধতিতে জগত তৈরির সঙ্গে ‘আল্লাহু’ ও ‘ওঁ’ শব্দটি জড়িত। শুন্যস্থিত সুপ্তশক্তির স্বভাবজনিত বিস্ফোরণের প্রথম শব্দই ‘আল্লাহু’ বা ‘ওঁ’ নামে খ্যাত। 

আদি পর্বে এই ‘অ-উ-ম’ নাদ পরাশব্দ নামে পরিচিত। অর্থাৎ প্রাথমিক বিস্ফোরণাবেগ জনিত নাম যা ‘SUPERSONIC’ শব্দকেও হার মানিয়েছে। এই শব্দ শোনা যায় না। এই শব্দের সাথে একাত্ম হতে হয়। দ্বিতীয় স্তরের শব্দের নাম ‘পশ্যন্তি’। এ শব্দ বা FREQUENCY শ্রুতিগ্রাহ্য নয়। আলো আকারে দৃষ্ট। যাকেই বলা হয়েছে বিন্দু। তৃতীয় পর্যায়ে এই শব্দ ‘মধ্যমা’ নামে পরিচিত। সুক্ষ্ম শ্রুতি হলে দেহ আকাশের মধ্যম স্তরে নিজের চেতনাকে তোলা গেলে যে শব্দ শোনা যায়, সেই শব্দই ‘অ-উ-ম’ বা ‘আল্লাহু’ হিসাবে সাধকের সুক্ষ্ম কর্ণে শ্রুত হয়। শেষ শব্দ স্থুল শব্দ। যার নাম ‘বৈখরী’ যা স্থুল কর্ণে শোনা যায়। 

‘আল্লাহু’ বা ‘ওঁ’ শব্দের এই চারিটি পর্যায়কে জগত প্রকাশে ‘ASTRO PHYSICS’ এর চারিটি অধ্যায় যথাঃ - (A) HADRONIC ERA (B) LEPTONIC ERA (C) RADIATIVE ERA এবং (D)STELLAR ERA এর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। HADRONIC ERA তে পদার্থের মৌল উপাদান ‘STRONG INTERRACTION’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। LEPTONIC ERA তে নিয়ন্ত্রক শক্তি ELECTRON ও POSITRON। 

এখানে শক্তি দুটি জ্যোতির সঙ্গে সমতালে (EQUILIBRIUM) থাকে। RADIATIVE ERA তে প্রাধান্য থাকে রশ্মি বিকিরণের (বিন্দু)। STELLAR ERA তে PROTON ও ELECTRON যুক্ত হয়ে হাইড্রোজেন অণু তৈরি করে। 

সাধকজনদের সৎ+চিৎ+বিন্দু ও আনন্দকেও এই চার পর্যায়কে তিনটি দ্বারা অর্থাৎ HADRONIC ERA কে (প্রায় সৎ) LEPTONIC ERA কে (চিৎ) ও RADIATIVE ERA কে (বিন্দু বা আনন্দ) দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শূন্যকে রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টি দিয়ে ভাবতে হবেঃ - “তবু শূন্য শূন্য নয়,ব্যাথাময় অগ্নিবাষ্পে পূর্ণ সে গগন” ইত্যাদি। বিজ্ঞানের ‘FIELD’ তত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের এই ধারণাকে সমর্থন করে। সেখানে দেখা যায় যে, শুন্যে চার্জ তৈরি হলে তার চতুর্দিকে শূন্য বেঁকে যায়। জগত সৃষ্টির এই যে ধারা, তা জগতের প্রতিটি অণু পরমাণুর মধ্যেই সুপ্ত রয়েছে জীবে অজীবে সর্বত্র। এইজন্য অনুর একটি ফটোগ্রাফ দেখলে জগতের অনুকৃতি তাতে লক্ষ্য করা যায়। চিত্রটি নিম্নরুপঃ 


চলবে............