৩০.
ওঠো! তুলে ধরো পেয়ালা তোমার!
ভরে নাও লাল শরাবে!
কানায় কানায় ভরে নাও তুমি,
উপচালে উপচাবে!
পেয়ালা তো নয়- মাথার খুলিটি!
একদিন হবে কংকাল!
আজরাইলের পেয়ালা যেদিন
ওই হাতে এসে যাবে।
সেদিন যেতে তো হবেই তোমাকে-
আজ তুমি ভুলে থাকো।
আজ পেয়ালায় এ ঠোঁট তোমার
চুমুকে চুমুকে রাখো।
এসো উৎসাহে, পাখি গান গাহে,
বহে যায় শুভকাল-
রাত হলো ভোর- থাকবে কি বসে?-
ভোরের আলোটি মাখো।
ওহে দেবদারু! তোমার সবুজে
আমাকে সবুজ করো।
কী হবে আখেরে? তার জন্যে কি
ভয়ে হবো থরোথরো?
মাটি থেকে এসে মাটিতেই আমি
ফিরে যাবো সেটা জানি।
তাই বলে তাকে আজ সাধবো না!-
এ কথা কেমনতর?
এত সাধনেও পাইনি যে তাকে,
ভিজে ওঠে দুই চোখ।
অশ্রু বহাই, ধুয়ে যাক ধুলো,
এভাবেই তবে হোক
শুদ্ধ শরীর শুদ্ধ হৃদয়-
এ যে করুণার পানি!
গোসল করো তো! সহনীয় হবে
প্রণয়ের দুর্ভোগ।
হাফিজ, জানো তো, যদি তার দিকে
দৃষ্টি রাখতে হয়-
তবে নির্মল অশ্রু ধোয়ানো
চোখেই তা নিশ্চয়!
সাপের মতো যে চুলে তার তুমি
হয়েছিলে দংশিত-
তারই তো চুমোর ছোঁয়ায় তোমার
এসে যাবে নিরাময়।
বইছে বাতাস তার দিক থেকে!
সুবাস এনেছে ওই তার!
হাফিজ, তোমার দরকার নেই
দরবেশি আলখাল্লার।
ছুঁড়ে ফেলে দাও, মজনুর বেশে
হও তুমি সজ্জিত-
কখন সে আসে- যদি আসে তাই
বিছাও গোলাপে পথ তার ॥